রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে নার্স সাথী বড়ুয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। হাসপাতালের মধ্যে নার্সদের ড্রেস বদলানো রুমে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি রাঙামাটি সদরের ৮নং ওয়ার্ডের মৃত মাখন বড়ুয়ার মেয়ে।
আজ (শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর) দুপুর ১১.৫০ এ ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান সহকর্মী নার্সেরা। খবর দেয়া হলে ১২.১০ এ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরে বেলা তিনটায় ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নেয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে সহকর্মীরা ফুল ও মোমবাতি জ্বালিয়ে তাকে বিদায় দেন। পরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয় মরদেহ।
সাথী বড়ুয়ার স্বামী সুমন বড়ুয়া বলেন, আমাদের মাঝে পারিবারিক কোন কলহ ছিলো না। সাথী কয়েক দিন ধরে অসুস্থ। সে অসুস্থতা সহ্য করতে না পেরে হয়তো বা এ কাজ করেছে। সে এই মৃত্যুর জন্য নার্স সাথীকেই দায়ী করেন।
এদিকে সাথী বড়ুয়ার স্বজন উজ্জ্বল বড়ুয়ার বলেন- সাথী বড়ুয়া সম্পর্কে আমার ভাবী হয়। আমরা দেখেছি তার হাঁটু মাটিতে লাগানো অবস্হায় ছিলো। জানালার গ্রিলের সঙ্গে কিভাবে ওড়না দিয়ে ফাঁস খাবে তিনি। এতে এটি স্পটতই হত্যাকান্ড বোঝা যায়। সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে সত্য ঘটনা বেড় করার আহবান জানাই আমরা।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার এসআই মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা খবর পেয়ে ১২টা ১০ মিনিটে এসে নিহতের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করি এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে সাথী বড়ুয়ার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ সাহেদ উদ্দিন বলেন, নার্স সাথী আত্নহত্যা করে মারা গেছে এটা শতভাগ নিশ্চিত। তবে পরকীয়া জনিত কোন কারন হতে পারে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।


















