খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার অবহেলিত যৌথ খামার গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহালছড়ি উপজেলা বিএনপির উঠান বৈঠক। ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ঘনবসতিপূর্ণ এই গ্রামে প্রথম বারের মতো কোনো রাজনৈতিক দলের এমন সরাসরি গণসংলাপমুখী কার্যক্রমে অংশ নিতে উৎসাহের সঙ্গে উপস্থিত হয় শতাধিক নারী-পুরুষ।
মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এই উঠান বৈঠকে সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোঃ বশির আহম্মেদের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্যে রাখেন স্থানীয় সমাজসেবী ও পাড়া কর্মী ভূমিকা ত্রিপুরা।
বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন মহালছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহিরুল হক। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আজিজ, সহ-সভাপতি মোঃ আহাদ মিয়া ও মোঃ বাকিউল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আবুল খায়ের ও জামাল উদ্দিন টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাজু আহম্মেদ ও মোঃ শহীদুল ইসলাম বকুল, উপজেলা যুবদলের আহব্বায়ক মোঃ শরীফুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মোঃ নুরুল ইসলাম, ছাত্রদলের আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুবেল সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, মহালছড়ি সদরের কাছেই এই যৌথ খামার গ্রামটি বছরের পর বছর অবহেলিত হয়ে আছে। ২০০১ থেকে ২০০৫ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া যে উন্নয়নমূলক কাজ করে গেছেন, তার পর থেকে গত ১৭ বছরে আর কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া এখানে আসেনি।” তারা আরও বলেন, সদরের এত কাছের এই গ্রামটি এখনো বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বিএনপি সরকার গঠন করলে আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি,এই এলাকার মানুষ যেন বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ পানি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুবিধা পায়, সে লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করব।
ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা বলেন, এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক দল আমাদের এলাকায় এসে সরাসরি আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। এতে আমরা খুব আনন্দিত এবং নিজেদের রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি।
উঠান বৈঠকে উপস্থিত শতাধিক নারী-পুরুষ মনোযোগ সহকারে নেতাদের বক্তব্য শোনেন এবং বিএনপির প্রতি আস্থা ও সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।


















