পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দঃ)-উপলক্ষে বাঘাইছড়িতে সর্ববৃহৎ জশনে জুলুছ বর্নাঢ্যর্র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উপলক্ষে বর্ণাঢ্য এই জশনে জুলুছের আয়োজন করেছে গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ।
রবিবার সকাল ৮টা বটতলী বাজার থেকে বর্ণাঢ্য জশনে জুলুছশুরু হয়ে এফব্লক, মাদ্রাসা পাড়া উপজেলা সদর হয়ে চৌমুহনী চত্বর পর্যন্ত সমাপ্ত হয়। এই জুলুছে জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেও শত শত মুসলমান যোগদান করে।
এসময় শত শত লোক জন কালেমা খচিত পতাকা, বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জুলুছে অংশ গ্রহণ করে। নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর, নারায়ে রিসালাত ইয়া রাসুলাল্লাহ(দঃ) ধ্বনিতে মূখরিত হয়ে উঠে আকাশ বাতাস। এছাড়াও মন মুগ্ধকর নাতে রাসুল (দঃ) পরিবেশন করতে থাকেন শায়েরগণ। জুলুছের সামনে ছিল শত শত মোটর সাইকেলের বিশাল বহর।
নানা রঙ-বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন ও কালেমা খচিত পতাকা নিয়ে শত শত মুসল্লী জুলুছে যোগদান করেন।
গাউছিয়া কমিটির সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আবু হানিফ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাওলানা মোহাম্মদ মোজাম্মেল সাহেব, প্রধানঅতিথি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল নুর সাহেব, বিশেষ অতিথি উপস্থিত জনাব গিয়াস উদ্দিন মামুন মহোদয়, জনাব হাজী আব্দুল শুক্কুর মিয়া, মাওলানা মোহাম্মদ কাউসার উদ্দিন সাহেব, মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল বারী সাহেব, মাওলানা মোহাম্মদ মাহমুদর রহমান, সহ এসময় বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, প্রিয় নবীজি(দঃ)-এর শুভাগমনে আল্লাহ পাক ফেরেশতাদের নিয়ে উর্ধ্বাকাশে জুলুছ করেছিলেন, যা কোরআন-হাদিসের আয়াত দ্বারা সুস্পষ্ট প্রমানিত। এছাড়াও এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এই জুলুছ নতুন কিছু নয়। তাই মিলাদুন্নবী (দঃ) উপলক্ষে জুলুছ করা উত্তম কাজ। দিন দিন জুলুছে লোক সমাগম বাড়ছে বলে সমাবেশে বলা হয়।
আলোচনা সভা শেষে দেশ ও জাতির কল্যান কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।