খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজের হিসাব শাখার কক্ষে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে আগুনে লেগে পুড়েছে কলেজের নথিপত্র, ক্যাশে-মেমোসমূহ। এ ঘটনায় তদন্ত ও গত ৩ অর্থবছরের হিসাব দিতে বলা হয়েছে উপজেলা প্রশাসন থেকে।
জানাযায়, শনিবার (৩১ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ৮ টায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। দীঘিনালা কলেজের সহকারী হিসাব হিসাব শাখার কক্ষে আগুনে পুড়েছে হিসাব শাখার আসবাবপত্র, নথিপত্র ও ক্যাশ মেমোসহ বিভিন্ন তথ্যাদি।
সূত্রে জানা যায়, আগুন লাগার ঘটনায় দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিস ও দীঘিনালা আবাসিক প্রকৌশলী(পিডিবি)কে অবগত করে ইতিবাচক সহযোগীতা চাওয়া হয়নি। যদিও পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন গিয়ে জানানো হয় কলেজে আগুন লেগেছে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
প্রত্যাক্ষদর্শী হার পাওয়ার প্রকল্প অধীনে কলেজের গ্রাফিক্স ডিজাইন শিক্ষার্থী রিতা চাকমা (২৩)জানান, দ্বিতীয় তলায় ক্লাস করছি। পরে ধোঁয়া দেখতে পেয়ে আমার শিক্ষক সুকেন্দ্র চাকমা’কে জানাই। হার পাওয়ার প্রকল্প গ্রাফিক্স ডিজাইন শিক্ষক সুকেন্দ্র চাকমা তিনি জানান, আমি আগুন লাগার বিষয়টি হিসাব সহকারী পরিপূর্ণ চাকমাকে অবগত করি।
কলেজের হিসাব সহকারী পরিপূর্ণ চাকমা বলেন, আজ কলেজ বন্ধ ছিলো। কলেজের আয়া বিরুলা চাকমা আমাকে ফোন করেন, আমি ঘটনাস্থলে এসে দেখি কলেজের হিসাব শাখায় যাবতীয় নথিপত্র পুড়েছে আগুনে। এসময় তিনি জানান সর্টসার্কিট হতে আগুন লেগেছে।
কলেজের আয়া বিরুলা চাকমা জানান, হার পাওয়ার প্রকল্প শিক্ষক আমাকে জানান কলেজে আগুন লেগেছে। পরে আমি বিষয়টি হিসাব সহকারীকে জানিয়েছি।
কলেজের নাইট গার্ড মঈনুদ্দিন জানান, আমাকে কলেজ হতে ফোন করা হলে। কলেজে এসে দেখি আগুন। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
দীঘিনালা আবাসিক প্রকৌশলী(পিডিবি)র লাইনম্যান সাহায্যকারী চুনীময় চাকমা জানান, আমার মনিং ডিউটি ছিলো আমাদেরকে ফোন করে কেউ জানায়নি কলেজে আগুন লেগেছে বিষয়টি।
দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা পংকজ বড়ুয়া জানান, কলেজের কেউ আমাদের ফোন করেনি। একজন এসে জানালেন কলেজে আগুন লেগেছে পরে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
দীঘিনালা আবাসিক প্রকৌশলী উপসহকারী মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদেরকে অবগত করা হয়নি অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি। প্রশাসন থেকে আমাকে ডাকা হলে তদন্ত করে এখানে কোন সর্টসার্কিটের আগুনের সূত্রপাত ছিলো না।
দীঘিনালা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ তরুন কান্তি চাকমা জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে কলেজ প্রভাষকদের নিয়ে এতে উপজেলা প্রশাসনের একজন প্রতিনিধি থাকবেন। মাউশি থেকে অডিট চাওয়া হবে গত ৩ অর্থ বছরের। পাশাপাশি আজকের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে।
দীঘিনালা থানার উপপরিদর্শক নূরউদ্দিন বলেন, কলেজের অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখতে পেয়েছি। কলেজ প্রশাসন অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।