বাজারে আসা দেশের বড় বড় সব ধরনের বিস্কুট কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। বহিঃবিশ্বে তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে বাংলাদেশেও তেলের দাম বেড়ে যায়। তারপর হতে একটাই অজুহাত চিনি, ময়দা ও আটার দাম বেড়েছে তাই। যার কারণে সব ধরনের বিস্কুটের দাম বাড়ানো হলেও মানে বাড়েনি। এতে করে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে বিস্কুট গ্রাহকরা। যেসব কোম্পনির বিস্কুটের দাম বেড়েছে তবে মান বাড়েনি তাহলো-অলিম্পিক, প্রাণ, ফুলকলি, বনফুল ও কিষোয়ানসহ আরো নাম অজানা অনেক কোম্পানি।
যেসব বিস্কুট দাম বেড়েছে মান বাড়েনি সে গুলো হলো-অরেঞ্জ বিস্কুট, ছোট এনার্জি বিস্কুট, টিপ বিস্কুট, লেক্সাস বিস্কুট, টোস্ট বিস্কুট, বড় এনার্জি বিস্কুট,ড ায়াসল্ট বিস্কুট, নাটি বিস্কুট, ফাষ্ট চয়েস কোকানাট ও মিল্ক প্লাস। ৫ টাকার ৪পিছ বিস্কুট ১০ টাকা করা হয়েছে। আর ১০ টাকার বিস্কুট ১৫-২০ টাকা করা হয়েছে। বড় প্যাকেট ৫০-৬০ টাকার বিস্কুট ৭০-৯০ টাকা করা হয়েছে। আর ৯০ টাকা প্যাকেটের বিস্কুট ১২০ টাকা করা হয়েছে। বিস্কুটের দাম বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে মানেও ছোট করা হয়েছে। ১০ টাকার কেক ১৫ টাকা করা হয়েছে। কিন্তু আগের ১০টাকার মানই রয়ে গেছে! এছাড়াও নামে বেনামে গুনগত মান নেই এমন অনেক বিস্কুট কোম্পানি বাজারে আসছে।
স্থানীয় গ্রাহক মফিজ উদ্দিন বলেন, বাজারে আসা সব ধরনের বিস্কুটের দাম বেড়েছে অসহণীয় ভাবে কিন্তু সে হারে একটুও মান বাড়েনি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, তেলের দাম বাড়ার পর হতে সব কিছু দাম বেড়েছে বাজারে। কিন্তু বাজারে আসা কোন পণ্যের মান বাড়েনি। আর এসব ব্যাপারে সরকারেরও কোন মাথা ব্যথা নেই বললেই চলে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম বেড়েছে, যা ক্রয়ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে। বাজারে গেলে হিমশিম ক্ষেতে হয় মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনদের। আর এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির গজব থেকে আল্লাহ কখন যে দেশের মানুষদের মুক্ত করবে তা জানি না।
বিভিন্ন কোম্পানির মার্কেটিংয়ে কর্তব্যরত এসআর ও সেলসম্যানদের সাথে এসব ব্যাপারে কথা বললে তারা বলেন-আটা, ময়দা ও চিনির দাম বেড়ে যাওয়ার কারনে সব কিছুরই দাম বেড়েছে। সে সুবাদে আমাদের কোম্পানিও দাম বাড়িয়েছেন। বেশী কিছু বললে সব দায়-ভার স্ব-স্ব কোম্পানির উপর ছেড়ে দেয় তারা। তারা আরো বলেন, আপনাদের কোন অভিযোগ থাকলে কোম্পানিকে অবগত করেন।
জেলা বাজার মার্কেটিং অফিসার সেলিম উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন আমরা বাজার মনিটরিং করি। বাজারে গেলে দোকানদাররা বলেন আমরা কি করবো। কোম্পানি গুলো তাদের বিক্রয় প্রতিনিধির মাধ্যমে মার্কেটে মালামাল পাঠায়। আমরা তাদের কাছ থেকে মালামাল ক্রয় করে থাকি। যখন যে দর তখন সে দরে মালামাল ক্রয় করি। তারপরও আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করি।