কাপ্তাই উপজেলার ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কাটাপাহাড় এলাকার ১৩ বছর বয়সী জন্ম হতে প্রতিবন্ধী মেহেদী হাসান রিফাত। রিফাত হাঁটতে পারেনা, বাহিরে বের হয় নাই কখনো। তবে তাঁর খোলা আকাশ দেখার ইচ্ছে ছিল অনেকদিনের। বাহিরে আলো বাতাস দেখার শখ, কিংবা ঘুরে বেড়ানোর শখ তাঁর। গরীব মা বাবার কাছে তাঁর আবদার এতটুকু।
কিন্ত তাঁর গরীব পিতা সিএনজি চালক মোঃ মহসিন এর পক্ষে ছেলের এই শখ পুরণ করার সাধ্য নেই। কারন প্রতিবন্ধী রিফাতের এই শখ পুরণে তাঁর পরিবারের দরকার একটি হুইল চেয়ার। যেখানে তাঁর পরিবারের পান্তা আনতে নুন ফুরাই অবস্থা, সেইখানে ছেলের এই শখ পুরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
অবশেষে তাঁর ছেলের এই শখ পুরণে এগিয়ে আসলেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান। কাপ্তাই উপজেলা সমাজসেবা বিভাগের সহযোগিতায় কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে তাকে হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার( ৭ ডিসেম্বর ) বেলা আড়াইটায় চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন এর ২ নং ওয়ার্ডের কাটাপাহাড় এলাকায় বসবাসরত মেহেদী হাসানের ভাঙা কুঁড়েঘরের সামনে গিয়ে তাঁর হাতে এই হুইল চেয়ার তুলে দেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান।
এইসময় তিনি বলেন, মেহেদী হাসান রিফাত যার বয়স মাত্র ১৩ বছর। যে জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বড় হয়েছে। তার বাবা একজন অসহায় গরীব সিএনজি চালক। ছেলের জন্য একটি হুইল চেয়ার পেতে তিনি বিভিন্ন জনের কাছে চেয়েও পাননি। সর্বশেষ কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রতিবন্ধী দিবসের অনুষ্ঠানে গেলে রিফাতের বাবা ও মা ছেলের জন্য একটু হুইল চেয়ার এর আবেদন করেন। যেটি পেলে ছোট্ট এই শিশুটি বাইরে বের হতে পারবে, খোলা আকাশের নিচে যেতে পারবে। মুলত তার এই ইচ্ছা পূরণ করতেই দ্রুত সময়ে আমরা সমাজসেবা অফিসের প্রতিবন্ধী সহায়তা সংস্থার সহযোগিতায় একটি হুইল চেয়ার নিয়ে এসেছি আজ। যেহেতু শিশু রিফাতের উপজেলায় যেতে কস্ট হবে তাই আমি নিজেই তার বাসায় এসে হুইল চেয়ারটি পৌঁছে দিয়েছি।
এইসময় কাপ্তাই উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান , কাপ্তাই প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবন্ধী মেহেদী হাসান এর পিতা মোঃ মহসিন, মাতা হাসিনা বেগম ছেলের জন্য হুইল চেয়ার পেয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।