রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীদের মাঝে বিনা মূল্যে ১ হাজার ২৫৮ পরিবারের মাঝে সোলার হোম সিষ্টেম বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (৯জানুয়ারি) জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের জুম্মবী মাঠে এসব সোলার তুলে দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
এ সময় জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইমন চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ, যক্ষা বাজার ক্যাম্প অধিনায় মোঃ মোশাররফ হোসেন সাগর, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিউল আজম, সহকারি প্রকৌশলী ত্রয়া সরকার, উপসহকারী প্রকৌশলী সুমেষ চাকমাসহ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য কালাচান চাকমা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি চিরঞ্জীব চাকমাসহ স্থানীয়গন্য মান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের নবীন নেতা সিন্দু প্রিয় চাকমা, যুব নেতা জ্ঞান মিত্র চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য চারু বিকাশ চাকমা, মৈদং ইউপি চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা ও দুমদুম্যা ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা প্রমূখ।
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার প্রধান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ বিহীন প্রত্যন্ত এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনে ঘরে ঘরে এই সৌর বিদ্যুৎ প্রদানে এ প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ প্রদানে আমরা নিবেদিত ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলে পার্বত্য অঞ্চলে উন্নয়নের ধারা অবহ্যত রাখতে শেখ হাসিনা সরকার ছাড়া বিকল্প নেই। সুতরাং সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিরোগী ও র্দীঘআয়ু জন্য আর্শীবাদের অনুরোধ জানান।
জুরাছড়ি, মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গণ বক্তব্যে মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষের মাঝে বিনা মূল্যে সোলার প্রদান করাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও উন্নয়ন বোর্ডের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ২য় পর্যায়ের পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প আওয়াতায় জুরাছড়ি ইউনিয়নে ৩২৫ পরিবার, মঙ্গলবার মৈদং ইউনিয়নে ৪১৪ পরিবার, বুধ ও বৃহস্পতিবার ৫১৯ পরিবারকে সোলার বিতরণ করা হবে।
এ দিকে সকালে জুরাছড়ি পৌঁছেই পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ৩৭ লক্ষ প্রায় টাকা ব্যয়ে নতুন মসজিদ নির্মাণ ও ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে অফির্সাস ডরমেটরি ভবন উদ্বোধন করেন।