রবিবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন ও অপরাধ
  3. উন্নয়ন খবর
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. এনজিও
  6. করোনা আপডেট
  7. কৃষি ও প্রকৃতি
  8. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  9. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  10. খাগড়াছড়ি
  11. খোলা জানালা
  12. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  13. জাতীয়
  14. দুর্ঘটনা
  15. পর্যটন

রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষনা কেন্দ্রে ব্রুকলি জাত উদ্ভাবন ও গবেষণায় সফলতা

প্রতিবেদক
ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই, রাঙামাটি
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩ ৩:৫৩ অপরাহ্ণ

 

পার্বত্য জেলা রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নে রয়েছে পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি কৃষিজ ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবন ও উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতির উপর গবেষণা করে পাহাড়ি এলাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশের কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

রাইখালীর পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শ্যাম প্রসাদ চাকমা জানান, অত্র কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর গবেষণা করে ব্রকলীর কয়েকটি উন্নত লাইন উদ্ভাবনে সফল হন। তার মধ্য থেকে অনেক যাচাই-বাছাইয়ের পর ব্রকলীর একটি লাইনকে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী ২০১৪ সালে বারি ব্রকলী-১ নামে কৃষক পর্যায়ে চাষাবাদেরর জন্য ছাড়পত্র দেয়।

বারি ব্রকলী-১ অন্যান্য সফল হাইব্রিড ব্রকলী থেকে ভিন্ন এই কারনে যে কৃষকরা বাংলাদেশের আবহাওয়ায় ফসল সংগ্রহের পরে মুক্ত পরাগায়নের মাধ্যমে বীজ উৎপাদন করতে পারে। কেননা হাইব্রিড ব্রুকলির ব্রীজ সংরক্ষন করা যায় না, সেহেতু সবসময় কোম্পানীর কাছ থেকে কিনতে হয়। কিন্তু এই বারি ব্রুকলি-১ মূল বিক্রয়োপযোগী পুষ্পমঞ্জুরী সংগ্রহ করার পর যে পার্শ্বশাখা গুলো বের হয় সেগুলো থেকে ফুল ফুটে এবং বীজ সংগ্রহ করা যায়। প্রতি হেক্টর জমি থেকে প্রায় ৬শত কেজির উপর বীজ সংগ্রহ করা যায়।

কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা জানান, ব্রকলি দেখতে অনেকটা ফুলকপির মতো, তবে সবুজ রঙের হয়। এটি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়, বিশেষ করে পাহাড়ীরা এই ব্রুকলি সিদ্ধ করে খেয়ে থাকে। এছাড়া সচরাসচর এটি ভাজি করে খাওয়া যায়। ছোট্ট বাচ্চারা এটি খুব পছন্দ করে। আর এটি খুব সুস্বাদু একটি সবজি।

বারি ব্রকলী-১ এর বীজ বপনের উপযুক্ত সময় মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে মধ্য অক্টোবর এবং চারা রোপনের ৫০ দিনের মাথায় পুষ্পমঞ্জুরী বের হওয়া শুরু হয় যা ১৫ দিনের মাথায় খাদ্যপোযোগী হয়।বারি ব্রকলী -১ এর প্রতিটি বিক্রয়োপযোগী পুষ্পমঞ্জুরীর গড় ওজন প্রায় ৩০০-৪৫০ গ্রাম। মূল পুষ্পমঞ্জুরী সংগ্রহের পর যে পার্শ্বশাখা পুষ্পমঞ্জুরী বের হয় সেগুলোও সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। আর কিছু পার্শ্বশাখা পুষ্পমঞ্জুরী বীজ উৎপাদনের জন্য রাখা যায়। বেশ কয়েকজন কৃষক সবজি উক্ত কেন্দ্র থেকে বীজ সংগ্রহ করে চাষ করে সফলতা পাচ্ছে।

স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্রকলীর বর্তমান বাজারদর বেশি হওয়াতে প্রায় সকল ব্রকলী চাষীরা অনেক সফল এবং পরবর্তীতেও তারা বারি ব্রকলী-১ চাষের আশা ব্যক্ত করেছেন।

জানা যায় বারি ব্রকলি-১ এর বীজ অফিস চলাকালীন যেকোন সময় অত্র কেন্দ্রের নার্সারি থেকে সংগ্রহ করা যাবে। আর মৌসুমের সময় চারা সংগ্রহ করা যাবে।

 

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

বিএনপি-আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচিতে জুরাছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি

এবার ৯ জুয়াড়িকে গ্রেফতার করলো কোতয়ালী পুলিশ 

নানিয়ারচর-লংগদু রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করবো -দীপংকর তালুকদার এমপি 

নানিয়ারচরে এবার এইসএসসি পরীক্ষার্থি ২১৫ জন

উৎসবমুখর পরিবেশে ধর্মীয় উৎসব পালনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হওয়া সাংবাদিক ফজলে এলাহীর জামিন মঞ্জুর

কাপ্তাইয়ের বগারচরে হেফজখানা ও এতিমখানার উদ্বোধন করেন দীপংকর তালুকদার এমপি 

কাপ্তাইয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৩ দিনব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু

বাঘাইছড়িতে হলুদের বাম্পার ফলন, যাচ্ছে সারাদেশে

বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রাঙামাটি সদর আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল