সোমবার , ৭ আগস্ট ২০২৩ | ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

বিজ্ঞানী ড. মংসানু মারমার বক্তব্য শুনল মহালছড়ির শিক্ষার্থীরা

প্রতিবেদক
ঞ্যোহ্লা মং
আগস্ট ৭, ২০২৩ ৭:৪৭ অপরাহ্ণ

গত ৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে মহালছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে আমেরিকা প্রবাসী বিজ্ঞানী ড. মংসানু মারমার একক বিজ্ঞান বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়।

এস এসএসসি ৯২ ফোরাম, মহালছড়ি, খাগড়াছড়ি অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন।

উপজেলার ৬টি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকরাও বক্তৃতা শুনতে উপস্থিত হন। ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করে সেদিন অডিটোরিয়ামটি কানায় কানায় ভরে উঠে।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ৯২ ফোরামের সভাপতি ঞ্যোহ্লা মং।

তিনি বলেন, “আজকাল আমাদের আলোচনায়, লেখালেখিতে, গানে কিংবা গল্পে বিজ্ঞানী হওয়ার কথা বলে না, স্বপ্ন দেখানো হয় না।

জনপ্রিয় গানে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কথা বলে, বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ তাদের আর্শীবাদে ছাত্রছাত্রীদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার আর্শীবাদ করতে দেখা যায়, কখনো কাউকে বিজ্ঞানী হতে আর্শীবাদ দিতে শুনা যায না। পৃথিবীকে যদি টিকিয়ে রাখতে হয়, আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় আমাদেরকে গবেষক হতে হবে, বিজ্ঞানী হতে হবে।“
তিনি আরো বলেন, “আজ আপনাদের সামনে একজন খ্যাতনামা বিজ্ঞানীকে হাজির করালাম। আশা করি, আপনাদের লেখালেখিতে, স্বপ্নে, বিশ্বাসে একজন বিজ্ঞানী হওয়ার কল্পনা তৈরি করবে। আজ থেকে আপনাদের মাঝে কিছু ছাত্রের মনে বিজ্ঞানী মংসানু’র ন্যায় বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্নের বীজ তৈরি হলেই আমাদের আজকের সম্মিলিত শ্রম সার্থক হবে।

স্বাগত বক্তব্যের পরে, বিজ্ঞানী ড. মংসানু মারমার জীবনী উপস্থাপন করেন, শিক্ষক পিপলু রাখাইন।

তিনি সিঙ্গিনালা থেকে কিভাবে আমেরিকায় ‘প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট’ হয়ে উঠেন সেই বর্ণনা দেন। তাঁর উপস্থাপনায় বিজ্ঞানীকে শুধু মেধাবি ছাত্র নন, সহজ সরল, সাধারণ বন্ধুভাবাপন্ন সমাজ সচেতন আর একজন দেশ প্রেমিক বিজ্ঞানী বলে উল্লেখ করেন।
বিজ্ঞানী তাঁর বক্তব্যের শুরুতে ৯২ ফোরামকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আজকের এই আয়োজনের মধ্যদিয়ে ফোরাম একটি অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করলো। আমাদের ফোরামগুলোকে পড়ালেখা শেষে নিজ প্রতিষ্ঠানে ফিরে এসে কাজ করতে দেখা যায় না। এটি কেবল উন্নত বিশ্বে দেখা যায়। যা বাংলাদেশে বিরল। বর্তমানে অক্সফোর্ড, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় বড় বিল্ডিং, গবেষণাগার, প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠেছে সমাজের সচেতন বা পয়সাওয়ালদের সহায়তায় । তিনি বলেন, বিজ্ঞান আজ সমাজে সমাদৃত নয়। ছাত্ররা বিজ্ঞান পড়তে চায় না। কিন্তু সমাজকে দেশকে এগিয়ে নিতে, জাতিকে এগিয়ে নিতে গেলে বিজ্ঞানের বিকল্প নেই।“
তিনি নিজেদের মধ্যে উদ্ভাবনী ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে গুরুত্বারোপ করে বলেন, অন্যের উদ্ভাবিত জ্ঞান দিয়ে খুব বেশি দূর এগিয়ে যাওয়া যায় না।
তিনি তরুণদের অনুপ্রাণিত করতে বলেন, “তোমরাও সাহস নিয়ে এগিয়ে গেলে বিজ্ঞানী হতে পারবে। পৃথিবীর যে কোন গ্রাম থেকে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের মানুষদের সাথে কাজ করার যোগ্যতা রাখতে পারবে। তবে, মনে রাখতে হবে শুধু বিজ্ঞানী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অফিসার হলে হবে না। সবার আগে ভালো মানুষ হতে হবে। ভালো হ্নদয় থাকতে হবে। তবে একজন ভালো ডাক্তার, ভালো বিজ্ঞানী, ভালো অফিসার হওয়া যাবে। এবং সমাজের প্রতি অবদান রাখতে পারবে।“
তিনি আইনস্টাইনের নাম উল্লেখ করে বলেন, “আমরা সবাই বলি, জ্ঞানই শক্তি। তবে, সবচেয়ে বড় শক্তি হলো মানুষের কল্পনার শক্তি। কল্পনার শক্তি, জ্ঞানের শক্তির চেয়েও শক্তিমান। তাই আমাদের কল্পনা বা স্বপ্ন, জ্ঞানের থেকেও অনেক উপরে। স্বপ্ন দেখলে তা বাস্তবে রূপ নিবেই নিবে। তবে, শুধু শুধু স্বপ্ন দেখে থাকলে হবে না, স্বপ্নের পিছনে আমাদেরকে ছুটতে হবে। অর্জনের জন্য পরিশ্রম করতে হবে। আবার শুধু পরিশ্রম করলেই হবে না, পরিশ্রমের পিছনে একটি উদ্দেশ্য থাকতে হবে। উদ্দেশ্যটি হতে হবে সুনির্দিষ্ট। আমাদের উদ্দেশ্য যত বড় হবে, স্বপ্নও তত বড় হতে হবে।“
তিনি তরুণদের উদ্ধুদ্ব করতে বলেন, তোমরা আমাদের তুলনায় অনেক ভাগ্যবান। আমাদের সময়ে এতকিছু ছিল না। তোমরা অনেক সুবিধাদি পাচ্ছো। সুতরাং আমাদের থেকেও ভালো কিছু করতে হবে। তিনি আরো বলেন, “Living in the Present” কে গুরুত্ব দিতে হবে। ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করে বেশি সময় নষ্ট করা যাবে না। বর্তমানে যদি ভালো করে পড়ালেখা করো আরো ভালো করবে।
তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন এই বলে যে, “পড়াশুনা করার সময় চাকরি নিয়ে চিন্তা করি নাই। কীভাবে সৎ থাকা যায়, সে চিন্তা করতাম। ছেলেবেলায় রাঙামাটিতে গিয়ে ট্রাক ড্রাইভার দেখে ট্রাক ড্রাইভার হতে চেয়েছিলাম। ভাবতাম ড্রাইভার হলে সমগ্র দেশ ঘুরা যাবে। আরো একটু বড় হয়ে গ্রামে কৃষকদেরকে প্রকৃতির সাথে সংগ্রাম করে চাষাবাদ করতে দেখে আবহাওয়াবিদ হয়ে ‘ফসল পুঞ্জিকার’ ন্যায় কিছু একটা আবিস্কার করে কৃষকদের সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। আমার এই দুটো স্বপ্নই সফল।“
তিনি তাঁর ছেলেবেলার স্বপ্ন ব্যাখ্যা করে বলেন, “কেন সফল বলছি? ট্রাক ড্রাইভার হয়ে দেশ ঘুরার যে স্বপ্ন ছিল, এখন আমি সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ানোর সক্ষমতা অর্জন করেছি। আর উদ্ভাবন করে সাধারণ মানুষের উপকার করার চেষ্টাতো করছিই। তাতেও আমি সফল।“
তাঁর বক্তৃতা শেষে, ছাত্রছাত্রীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন, এসএসসি ৯২ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষক অংশুমান দেবনাথ।

একক বিজ্ঞান বক্তৃতা অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন মহালছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মি. নিপুল বিকাশ খীসা। তিনি বিজ্ঞানীর সংঙ্গে থাকা দুই কন্যার সাথে সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতায় আমেরিকার শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে তাঁর জানা তথ্যগুলো ছাত্রছাত্রীদের সাথে বিনিময় করেন।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর ১১৭তম ওরশ শরীফ: / কনকনে শীত উপেক্ষা করে মাইজভান্ডারে আশেক-ভক্তের ঢল নেমেছে

দীপংকর তালুকদারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে রাইখালীর হেডম্যান

বাঘাইছড়িতে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

রাজস্থলীতে কারিতাসের আয়বর্ধক কর্মসুচির প্রাণী ও সামগ্ৰী বিতরণ

বীর বাহাদুরকে বরণ করল বান্দরবানবাসী

নানা আয়োজনে কাপ্তাইয়ে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত 

সত্যিই সেই মেয়েটি অকালে হারিয়ে গেলো!

কাপ্তাইয়ে   ৪ দিনব্যাপী দক্ষতাভিত্তিক  প্রশিক্ষণ  সম্পন্ন 

ব্যাডমিন্টন খেলায় তর্কের জেরে রাকিবের পা কাটল সহপাঠীরা; গ্রেফতার এক

লংগদু সরকারি কলেজে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

%d bloggers like this: