বৃহস্পতিবার , ১০ আগস্ট ২০২৩ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

রাঙামাটিতে অর্ধ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; বাঘাইছড়িতে ৩ জনের লাশ উদ্ধার

প্রতিবেদক
এম কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি
আগস্ট ১০, ২০২৩ ৬:৪৬ অপরাহ্ণ

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ২ শিশুসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পৃথক ঘটনায় বাঘাইছড়ির কাচালং নদী থেকে এ তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে এলেও সম্প্রতি টানা বর্ষণে সদরসহ রাঙামাটি জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন  অর্ধ লাখ মানুষ। রাঙামাটি ও বাঘাইছড়ি পৌরসভাসহ ২৯টি ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক গ্রামের পাহাড়ধসে ২৮টি আশ্রায়ণের ঘরসহ ১ হাজার ৩০১ পরিবার এবং বন্যায় প্লাবিত হয়ে ১০ হাজার ৬১৭ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের সদস্য সংখ্যা প্রায় অর্ধ লাখ। এছাড়া পাহাড়ি ঢলে বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩৬৮ দশমিক ১৫ হেক্টর ফসলি জমি ও রোপা আমন খেত। জেলা প্রশাসন এসব তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচালং এলাকার দীপুপাড়া কাচালং নদীর পাড় থেকে কাঁদামাখা অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। সাজেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বলেন, লাশটি স্থানীয়রা দেখতে পেলে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে অপরিচিত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন, সাজেক থানার ওসি নুরুল আলম। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পানির ¯্রােতে ভেসে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। লাশের পরিচিতি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
পৃথক ঘটনায় বাঘাইছড়ি থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বাঘাইছড়ি পৌরসভার উগলছড়ি হাজীপাড়া এলাকার কাচালং নদী থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার নাম মো. জুয়েল (৭)। সে বাঘাইছড়ি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মাদ্রাসাপাড়ার মো. মহসিনের ছেলে। জুয়েল মঙ্গলবার (৮ আগষ্ট) নৌকা থেকে পড়ে পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হয় বলে তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে। আরেক ঘটনায় একই দিন দুপুরে বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের অরুণ বড়–য়ার ছেলে রাহুল বড়–য়া (১০) বাড়ির পাশে নদীর ধারে গাছ থেকে পেয়ারা পারতে গিয়ে পড়ে গেলে পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে উদ্ধার করে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে নিশ্চিত করেন, বাঘাইছড়ি থানার ওসি মো. আলমগীর।
এদিকে জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, জেলায় ২০৫ স্থানে পাহাড়ধস হয়েছে। পাহাড় ধসে ক্ষতি হয়েছে বিভিন্ন সড়কের ৬৯ স্থানে। বন্ধ রয়েছে ১২টি সড়ক। ক্ষতি হয়েছে ৩৬টি ব্রিজ ও কালভার্ট। বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৪টি। পাহাড়ধসে ও বন্যায় ক্ষতি হয়েছে ১৮টি স্থানীয় হাটবাজার। বন্যায় ক্ষতি হয়েছে ৩৫৭ স্থানে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪৯টি পুকুর। মারা গেছে গবাধি পশু।
জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, বরকল ও বাঘাইছড়ি উপজেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েন প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ। বর্তমানে দুর্গতদের দুর্বিসহ দিন কাটছে। বাঘাইছড়িতে বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড়ধসসহ বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাটবাজার ও মাচালং সেতুতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এতে সাজেকে আটকা পড়েন বহু পর্যটক।
জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালক্টের (এনডিসি) ও সহকারী কমিশনার বিজয় কুমার জোয়ার্দার জানান, পাহাড়ধসে ঝুঁকিতে থাকা ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের জন্য ১৫৭টি এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছেন সাড়ে ৫ হাজার অধিক মানুষ। দুর্গত লোকজনের সহায়তায় খাবার ও জরুরি ত্রাণ বিতরণ করছে প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন জানান, বন্যায় কবলিতদের জন্য সরকারী ভাবে ত্রাণ সহায়তা পাওয়া গেছে। এছাড়াও ত্রাণ সামগ্রী মজুত রয়েছে। গত কয়েক দিনে সবার সহযোগিতায় দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব
হয়েছে। গতকাল থেকে পরিস্থিতি অনেকটা অনুকূলে রয়েছে। বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়েছে ধীরে ধীরে লোকজন আশ্রয়কেন্দ্র
থেকে ঘরবাড়িতে ফিরে যেতে পারবে। বাঘাইছড়ি,জুরাছড়ি,বিলাইছড়ি,কাপ্তাই,নানিয়ার,কাউখালী,বরকল ও সদর উপজেলার বন্যা ও বৈরী আবহাওয়ার পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতির দিকে।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
%d bloggers like this: