শুক্রবার , ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

শরতের প্রকৃতি নিজের মত করে সাজিয়ে দিয়েছে বান্দরবানকে

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩ ৪:৫৩ অপরাহ্ণ

পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে চলছে এখন রোদ মেঘ বৃষ্টির মিতালি। শরতের  প্রকৃতির রূপ সেজেছে নিজের মত করে। শিল্পীর ক্যানভাসে আঁকা ছবির মত শরতে ফুটে উঠে পাহাড়ের সৌর্ন্দয্য। যেদিকে চোখ যায় চারিদিকে সবুজ অরণ্যে ঘেরা পাহাড়ের এই সময়ে সৌর্ন্দয্য বাড়ে আরো দ্বিগুন।

পাহাড়ের এই রূপ মুগ্ধ করবে যে কাউকে।
ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান বান্দরবান। শরতের মৌসুমে পাহাড়ে এখন সবুজের সমারোহ। বলা যায়, পাহাড়ের প্রকৃতি যেন মুগ্ধতার শেষ নেই। পাহাড়ের এই সৌন্দর্য কাছ থেকে দেখতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে পর্যটন নগরী বান্দরবান।

গেল সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ের সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান ও ভয়াবহ বন্যায় পাহাড়ী ঢলে সড়ক যোগাযোগ বন্ধের কারণে দিনদিন কমতে থাকে পর্যটক। বর্তমানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধিসহ সড়ক যোগাযোগ কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আবারও আগের সেই চেনা রূপে ফিরেছে পর্যটন স্পটগুলো।
জেলা শহর থেকে বান্দরবান-থানচি সড়কের শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগীরী, নীল দীগন্ত এবং শহর থেকে কাছে পর্যটন স্পট নীলাচল ও মেঘলা সহ কয়েকটি স্থানে ঘুরে অসংখ্য পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে।

পর্যটন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ের সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান ও ভয়াবহ বন্যায় পাহাড়ী ঢলে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সহ নানা কারণেই পর্যটক শুন্য হয়ে পড়ে বান্দরবান। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ সব মিলিয়ে টানা তিনদিনের ছুটি। এছাড়া হোটেল-মোটেল মালিক পক্ষ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে সকল হোটেলে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত রুমভাড়া ২০-৪০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে বান্দরবানে বেশীর ভাগ আবাসিক হোটেল রিসোর্টে ৫০ শতাংশ বুকিং। র্দীঘ ৬ মাসপর এমন আশানুরূপ পর্যটকদের আগমন দেখে খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে অনায়াসে ভ্রমণ করতে পেরে মুগ্ধ পর্যটকরা।
কথা হয় চাঁদের গাড়ি যোগে থানচি-চিম্বুক সড়কে যাওয়া পথে করিম, হাবিব, মোসাদ্দেক সহ ১৪ জনের টিমের সাথে। তারা বলেন, দীর্ঘদিন পর পাহাড়ের প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখতে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। উদ্দেশ্য ছিল রাঙ্গামাটি আর বান্দরবান। প্রথমে বান্দরবানে এসে অপূর্ব সুন্দর প্রকৃতির রূপ উপভোগ করছি। এখানে ভোরে আঁকাবাঁকা সড়কে দূরে তাকালে মনে হয়, এ যেন মেঘের সঙ্গে পাহাড়ের লুকোচুরি খেলা। জীবনের তাগিদে পাহাড়ীরা জুম ঘরে ফসল সংগ্রহের জন্য রাস্তার পাশ দিয়ে দল বেঁধে মাথায় থুরুং (বেতের তৈরি ঝুড়ি) ঝুলে রওনা দিচ্ছে, এমন দৃশ্য তাদের কাছে সবচেয়ে আকৃষ্ট করেছে।
রাজশাহী থেকে সপরিবারে বেড়াতে আসা সালমা আক্তার বলেন, সম্প্রতি সময়ে পাহাড়ে বিভিন্ন রকম ঘটনা ঘটছে। সেই দিক দিয়ে আমরা পর্যটকরা আসতে আসলেই ভয় পাই। সবদিক চিন্তা করে এই সময়টা পাহাড়ে একটু ঘুরে যাই, এই ভেবে ঘুরতে এসেছি।
বান্দরবান হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ সময় ধরে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ও বন্যার কারণে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার পর্যটন ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘ ৬ মাস পর পাহাড় প্রেমীদের পদচারণায় আবারও মুখরিত হচ্ছে বান্দরবান।
তিনি আরও বলেন, গেল করোনাকালীন লোকসান, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে পর্যটনকেন্দ্রীক অর্থনৈতিক চাকা আবারও ঘুরে দাঁড়াবে এমনটাই আশা পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকলের।
বান্দরবান জোন ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিন দিনের টানা ছুটিতে বান্দরবানে প্রকৃতিপ্রিয় পর্যটকেরা ছুটে আসছেন। ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়মিত টহল ও সাদা পোশাকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে। বান্দরবান ভ্রমণে আসা পর্যটকরা নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা ।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

%d bloggers like this: