নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণ অন্যান্য এলাকার ন্যায় পার্বত্য চট্টগ্রামেও কঠোরভাবে নির্বাচনী বিধি বিধান অনুসরণ করা হবে। এখানে নির্বাচন পরিচালনার জন্য আগের ন্যায় সেনাবাহিনী মোতায়ন থাকবে। পা
পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি বৈধ অস্ত্রও যেন অবৈধ ব্যবহার করা না হয় সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচন পেছানো হবে। এখনো সময় আছে। তিনি আরো বলেছেন বিশ্বের কাছে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে বিদেশী পর্যবেক্ষদের বাংলাদেশে আসার আবেদনের সময়সীমা ২৬ নভেম্বর চলে গেলেও তা আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
ইতিমধ্যে আরো ৫০টি দেশ থেকে বিদেশী পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে আসার জন্য আবেদন করেছেন। বিদেশী পর্যবেক্ষক যেন নির্বাচন দেখতে আসে সেজন্য নির্বাচন কমিশন তাদের উৎসাহিত করবে।
সোমবার সকালে রাঙামাটিতে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে সভা শেষে দুপুরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। এর আগে সকাল ১১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত সভা করেন নির্বাচন কমিশনার।
নির্বাচনে নির্বাচন বিধি যেন লংঘন করা না হয় সেজন্য রির্টানিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা স্ব স্ব আসনে লেভেল প্লেইং পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করবে। সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, দেশে মোট ৪৬টি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আছে। এর মধ্যে ২৬টি দল নির্বাচনে এসেছে। বাকীগুলো আসেনি। যারা আসবে না তাদের আনার কোন উপায় আমাদের নেই। নির্বাচন করা না করা তাদের সিদ্ধান্ত। নির্বাচন কমিশন তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আহবান জানাচ্ছি। কোন অভাব অভিযোগ থাকলে নির্বাচন কমিশনকে বলুক।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে সভায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান, রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, রাঙামাটি বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সাহিদুর রহমান ওসমান, দুই জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, দুই জেলার সকল থানার ওসি, গোয়েন্দা সংস্থার দুই জেলার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।