রাঙামাটির ২৯৯নং আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী দীপংকর তালুকদার সহ ৫ জনের মনোনয়ন জমাদান মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। বাকীরা হলেন জেএসএস কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের অমর কুমার দে, জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী হারুনুর রশীদ মাতব্বর, তৃণমুল বিএনপির শাহ হাফেজ মিজানুর রহমান। রাঙামাটি আসনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান ৫ জনের মনোনয়ন জমাদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খানের হাতে এ ফরম জমা দেন। প্রায় ২ শতাধিক নেতাকর্মীসহ ফরম জমা দেন দীপংকর। এ সময় দীপংকরের সাথে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, সাবেক পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, চিংকিউ রোয়াজা, আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য হাজী কামাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাতব্বর, যুগ্ম সম্পাদক শামসুদ্দোহা চৌধুরী বাঘাইছড়ি পৌর মেয়র জমির উদ্দিন, কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অংসুই চাইন চৌধুরীসহ জেলা আওয়ামীলীগের শীষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মনোনয় ফরম জমা দিয়ে দীপংকর তালুকদার বলেন তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী এবং নির্বাচনী তিনি জয়ী হলে রাঙামাটিকে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন শহর গড়ে তুলবেন বলেন দীপংকর তালুকদার।
এদিকে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিবেন না রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি নিখিল কুমার চাকমা।
তিনি পাহাড়ের খবরকে বলেন, জননেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমাকে দুবার সুযোগ দিয়েছেন। তাঁর স্বাক্ষরে আমি রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছি। তাঁর স্বাক্ষরে আমি উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়েছি। এবারের নির্বাচনে আমি নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন চেয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাকে মনোনয়ন দেননি। এতে আমার কোন দু:খ নেই। আমি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করছি। তাঁর সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করে আমি নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ কবর সে প্রস্তুতি আমি নিয়েছি। আমার অনেক সমর্থক আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। কিন্তুআমি একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হয়ে কখনো নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারি না। আমি জননেত্রীর কথা মেনে চলব।
প্রসঙ্গত এ নির্বাচনে রাঙামাটি আওয়ামীলীগ থেকে শুধুমাত্র দীপংকর তালুকদার একক প্রার্থী হবার কথা থাকলেও তফসিল ঘোষণার পর ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন চান। পরে দীপংকরকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়।