রাঙামাটির কাপ্তাই তথ্য অফিসের লোক সঙ্গীত দলের নিয়মিত বাংলা ঢোল বাদক টুন্টু রাম দাশ। যিনি তাঁর অপূর্ব বাদন শৈলীর মাধ্যমে ইতিমধ্যে দর্শকের অকুন্ঠ ভালোবাসা অর্জন করেছেন এবং প্রশংসা পেয়েছেন। কাপ্তাই তথ্য অফিস নিয়মিত উদ্বুদ্ধকরণ সঙ্গীতানুষ্ঠান এবং লোকসংগীত পরিবেশন করে আসছেন কাপ্তাই, রাজস্থলী এবং বিলাইছড়ি উপজেলায়।
এইসব উপজেলার জনবহুল স্থানে কাপ্তাই লোক সঙ্গীত দলের সাথে তিনি নিয়মিত বাংলা ঢোল পরিবেশন করে আসছেন। এছাড়া জেলা তথ্য অফিস, রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম এর বিভিন্ন উদ্বুদ্ধকরণ সঙ্গীতানুষ্ঠানে তিনি রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নিয়মিত বাংলা ঢোল পরিবেশন করে আসছেন দক্ষতার সাথে।
তথ্য অফিসের প্রোগাম ছাড়াও কাপ্তাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি সহ বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাংলা ঢোল পরিবেশন করে দর্শককের তুমুল করতালি পেয়েছেন বাংলা ঢোল বাদক টুন্টু রাম দাশ।
চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার নজরের টিলা গ্রামে জন্ম নেওয়া এই গুণী শিল্পী বাংলা ঢোল আয়ত্ব করেন একই গ্রামের কৃতি ঢোল বাদক বাংলাদেশের নন্দিত ঢোল বাদক বেতার ও টিভি শিল্পী শিবু দাশের কাছ থেকে। টুন্টু রাম দাশের বয়স যখন ৮, তখন থেকে তিনি নিয়মিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাজাতে শুরু করেন। এই পর্যন্ত ২ হাজারেরও উপরে মঞ্চে তিনি বাংলা ঢোল বাজিয়েছেন। টুন্টু রাম দাশের পিতা প্রয়াত মহেন্দ্র দাশ ছিলেন একজন বংশীবাদক, তাঁর মা প্রয়াত রেনু বালা দাশ তাঁকে সবসময় উৎসাহ দিতেন।
টুন্টু রাম দাশ এই প্রতিবেদককে বলেন, বাংলা ঢোল আমার ভালোবাসা, এটাই আমার পেশা, এটাই আমার নেশা। কখনো অর্থকে বড় করে দেখি নাই, মানুষকে আনন্দ দেবার জন্য আমি পরিশ্রম করে যন্ত্রটি বাজায়। আমৃত্যু এই যন্ত্রটিকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাই।
কাপ্তাই লোক সঙ্গীত দলের নিয়মিত কণ্ঠশিল্পী বাউল শিল্পী বসুদেব মল্লিক বলেন, টুন্টু রাম দাশ যখন আমার সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাজান, তখন আমি অন্যরকম অনুভূতি ফিল করি। তিনি একজন দক্ষ বাংলা ঢোল বাদক।
টুন্টু রাম দাশ এর যন্ত্র সঙ্গীত গুরু খ্যাতিমান ঢোল বাদক শিবু দাশ বলেন, আমার ছাত্রের মধ্যে টুন্টু রাম দাশের বাজনা আমার ভালো লাগে। সঙ্গীতে যেই লয় বলতে একটা কথা আছে, সেই কিন্তু লয়দার বাদক। সেই অনেক বিনয়ী ও পরিশ্রমী বাদক। ভবিষ্যতে সেই অনেক ভালো করবে।