২০ সেপ্টেম্বর ঘটে যাওয়া রাঙামাটির সহিংসতার ঘটনায় প্রায় সোয়া ৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় সরকারি অফিস, ব্যাংকসহ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে একটি কমিটি করে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে তদন্ত শেষে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত নিরূপণ করে এর প্রতিবেদন জমা দিয়েছে নিরূপণ কমিটি।
ঘটনার আগের দিন ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালায় পাহাড়িদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ২০ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ডাকে ‘সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন’। এ সময় মিছিলটি শহরের বনরুপা পেট্রোলপাম্প চত্তরে গেলে পরে তা পাহাড়ি বাঙালি সহিংসতায় রুপ নেয়। এতে অনিক চাকমা নামে এক কলেজছাত্র নিহত এবং উভয়ের মধ্যে ৬৪ জন আহত হন। এ সময় পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ ভবনসহ পাহাড়িদের বাড়িঘর, বিভিন্ন স্থাপনা ও যানবাহনে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির নিরুপণ কমিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের ভবনে রাখা নয়টি গাড়ি, বনরূপাবাজারে একটি মাইক্রোবাস, কালিন্দীপুরে দুইটি মাইক্রোবাস, ১০টি মোটরসাইকেল, নয়টি গাড়ি, ছয়টি সিএনজি অটোরিকশা, ছয়টি ট্রাক, তিনটি বাস, দুইটি টু স্ট্রোক গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ভাঙচুর হয়েছে ৮টি ব্যাংকে। এছাড়া ১৮টি বাড়ি, ৮৯টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ৮৫টি ভাসমাণ দোকান, ২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, একটি মসজিদ, একটি বৌদ্ধবিহার ও একটি আসবাবপত্রের দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া একটি ট্রাফিক বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়া সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। ওই সহিংসতা ঘটনায় মোট ৯ কোটি ২২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ কমিটি তালিকা তৈরি করে তা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে।