মাইনী নদী খননের মাটি দিয়ে কাপ্তাই লেক ভরাট অনুসন্ধ্যানে মাঠে দুদক। গত সোমবার রাঙামাটি জেলা সমন্বিত কার্যালয় দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক অনুসন্ধ্যানে যান লংগদু মাইনী নদী খনন মাটি দিয়ে কাপ্তাই লেক ভরাট দেখতে।
দুদক সূত্রে জানান যায়, মাইনী নদী খননের মাটি দিয়ে লংগদুতে কাপ্তাই লেক ভরাটের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা), রাঙামাটি হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে প্রথমে টিম সরাসরি লংগদুর মাইনীমুখ বাজারের পার্শ্ববর্তী কাপ্তাই লেকের ভরাটকৃত অংশ সরেজমিনে পরিদর্শন করে। এরপর টিম অভিযোগের সত্যতা যাছাইয়ের জন্য স্থানীয় বাজার কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, বাজার চৌধুরীর সাথে কথা বলেন।
তারা জানান, আলোচ্য জমিটুকু কাপ্তাই লেকের অংশ।পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার কেন, কিভাবে এই জমি ভরাট করেছে তা তাদের জানা নেই। অভিযান চলাকালে, ভরাটকৃত জমির পার্শ্ববর্তী মাইনীমুখ মডেল হাইস্কুল এর প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং কমিটির সদস্যবৃন্দ দাবি করেন, আলোচ্য জমির এক একর তাদের বন্দোবস্তকৃত এবং উক্ত জমি ভরাটের জন্য জেলা পরিষদ হতে ২০লক্ষ টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত কোন ডকুমেন্ট তারা এনফোর্সমেন্ট টিমকে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। অপরদিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, উক্ত জমিতে তাদের পরিষদের ৫০শতক জায়গা রয়েছে। কিন্তু তিনি জমি ভরাটের সাথে তার এবং ইউনিয়ন পরিষদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন।
পরবর্তীতে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় যে, এখানে আগে বছরের ছয় মাস পানি থাকতো। এই অংশে চারটি ঘাট ছিল। ঘাটে হাটবার এবং অন্যান্য দিনে নৌকা ভিড়তো।এই জায়গাটুকু ভরাট করার ফলে জনগণের ব্যাপক ভোগান্তি ও দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত জমি ভরাটের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা এবং উচ্চ আদালতে রিট মামলা চলমান রয়েছে।
এদিকে মাইনী নদী খনন মাটি দিয়ে কাপ্তাই লেক ভরাট করার মূল হোতা মাইনীমূখ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল দুদক অনুসন্ধ্যান টিমকে ভুল ব্যাখা দিয়েছেন সে বাঁচার জন্য। মাইনী নদী ড্রেজিংয়ের মাটি ভরাট করার মূল পরিকল্পনাকারী হলেন কমল। কমল চেয়ারম্যানকে আইনের আওতায় আনা হলে সবকিছু বের হয়ে আসবে বলছেন স্থানীয় লোকজন।