পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন-আমরা সিরিয়াসলি চিন্তা করছি যে পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে হব। এ কারণে কফি ও কাজুবাদামকে পার্বত্য এলাকায় ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে দিতে চাই। সিলেটকে যেমনি চায়ের দেশ বলা হয়, তেমনি তিন পার্বত্য জেলাকে কফি ও কাজুবাদামের দেশ বানাতে চাই।
আজ (শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল) দুপুরে রাঙামাটিতে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম বারের মতো ‘বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও বৌদ্ধ সংস্কৃতি বিকাশে করণীয়’ শীর্ষক এই সেমিনার আয়োজন করে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট।
বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন- ‘সার্ভিস সেক্টর দিয়েই ইউরোপ-আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলো এগিয়ে গেছে। অথচ আমরা কখনও চিন্তা করি নাই যে সার্ভিস সেক্টরকে ডেভেলপ করতে হবে’।
তিনি বলেন- ‘গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি দিয়ে আর কোন একসময় জুট ইন্ডাস্ট্রির সোনালী আঁশ বলতে বলতে বলেছিল বাংলাদেশকে সোনার বাংলা করে ফেলবে। কিন্তু আমরা কোন কিছু করতে পারি নাই। সার্ভিস সেক্টর ডেভেলপ করা হলে কাপ্তাই লেক দিয়েই পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামকে ইকো-ট্যুরিজম বলেন, অন্য কোন ট্যুরিজম বলেন আমরা ডেভেলপ করতে পারতাম। ১৯৬০ সালের সবকিছু হারানোর দুঃখ ফেলে ২০২৫ শে এসে কাপ্তাই লেকটা এখন সোনা হয়ে গেছে। সোনা ফলাবেন কি-না আপনাদের ওপর’।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের হলরুমে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সুকোমল বড়ুয়া। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান, বান্দরবান মং সার্কেল প্রধান সাচিং প্রু, শ্যামল মিত্র চাকমা প্রমূখ।
আলোচনা বক্তারা বৌদ্ধ ধর্মের প্রসারে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিশেষ পাঠ্যবই প্রণয়ন, বৌদ্ধ সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চার জন্য জাতীয় বৌদ্ধ সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ে তোলার আহবান জানান।