গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অগ্রণী নেতা নুরুল হক নুরের ওপর যৌথবাহিনীর হামলার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় রাঙামাটি ছাত্র-জনতার উদ্যোগে এই মিছিল বের হয়। শহরের বনরূপা আলিফ মার্কেট থেকে শুরু হয়ে বনরূপার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কোর্ট বিল্ডিং ঘুরে পুনরায় বনরূপায় এসে মিছিলটি শেষ হয়। হাতে মশাল নিয়ে ছাত্র, যুবক, শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষ বিভিন্ন স্লোগান প্রদান করেন।
পরে বনরূপায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, “যৌথবাহিনীর বর্বরোচিত হামলা শুধু নুরুল হক নুরের ওপর নয়, বরং এটি গণতন্ত্রকামী আন্দোলনের ওপর নগ্ন আঘাত। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। হামলার দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। অন্যথায় সারাদেশে আরও বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে। একসাথে তারা পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী জাপা (জাতীয় পার্টি) নিষিদ্ধকরণের দাবি জানান”
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি সমঅধিকারের আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন, বিপ্লবী ওয়ার্কস পার্টির সাধারণ সম্পাদক জুই চাকমা, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ইমাম হোসাইন কুতুবী, ইসলামী ছাত্র শিবির রাবিপ্রবির সভাপতি মো: সাউবান, এনপিসির রাঙামাটি প্রধান সমন্বয়ক বিপিন জ্যোতি চাকমা, রাঙামাটি ছাত্র অধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি মো: ইমাম হোসাইন ইমু রাঙামাটি গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ওয়াহিদুজ্জামান রোমান।
সমাপনী বক্তব্যে রাঙামাটি গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক এম.এ বাসার বলেন, “এই হামলা গোটা জনগণের উপর হামলা। এই হামালার সুষ্ঠ বিচার ও ফ্যাসিস্টের ধূসর জাপা (জাতীয় পার্টি) কে অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ করা না হলে, আমরা সবাই মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। এসময় তিনি সবার প্রতি আহব্বান জানা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে আন্দোলনে শামিল হতে হবে। জুলাইয়ের পক্ষে সবাইকে এক হতে হবে বলেন তিনি।”


















