রাঙামাটি সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র তেইশ বছর বয়সী আলোড়ন চাকমা গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। আলোড়ন চাকমা রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার পানছড়ির হাজাছড়ি গ্রামের প্রিয়ধন চাকমার ছেলে।
তার পরিবার জানায়, গত ৩ অক্টোবর কলেজ শেষে রাঙামাটির টিটিসি এলাকার ভাড়া বাসায় ফিরে, বিকেলে কালিন্দিপুরে বাজার করতে যায়। সেখান থেকে বাসায় ফেরার পথে অজ্ঞাত কয়েক যুবক তাকে তুলে নিয়ে যায়।
পরিবার জানায়, ৩ অক্টোবর দুপুর পর্যন্ত তার মোবাইল সচল থাকলেও বিকেল থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে। পরিবারের ধারনা তাকে অপহরণ করা হয়েছে।
কাউখালী থানার ওসি সাইফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। তবে ঘটনাস্থল রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার আওতায় হওয়ায় সদর থানায় জিডি করেছে পরিবার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলা গ্রহণকারী কোতোয়ালী থানার এসআই (নিরস্ত্র) আলী হোছাইন বলেন-আমি সেদিন ডিউটি অফিসার ছিলাম। মামলাটি আমি গ্রহণ করেছি। পরে তার পরিবার মামলাটি প্রত্যাহার করেছেন। কিন্তু সর্বশেষ অগ্রগতি এই মুহূর্তে আমার জানা নাই।
ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন জানান, নিখোঁজ আলোড়ন চাকমা অপহরণ হওয়ার কোন তথ্য পুলিশ বা আমার কাছে নেই। তবে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তার বাবা অবগত করেছেন।
এদিকে নিখোঁজ আলোড়ন চাকমাকে নিয়ে সদর থানা পুলিশ ও পরিবারের মাঝে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের দাবী তাকে কিলিন্দিপুর থেকে কয়েকজন যুবক অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এবং 01878-573775 নাম্বার থেকে ফোন করে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হয়েছে।
অপরদিকে নিখোঁজ আলোড়নের বাবা প্রিয়ধন চাকমার ফোনে যে টাকা দাবীর কথা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশের তদন্তে সে নাম্বারটি লোকেশন দেখাচ্ছে চট্টগ্রামের মিরসরাইতে। এ নিয়ে পুলিশ দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে নিখোঁজ আলোড়ন চাকমাকে কি সত্যিই অপহরণ হয়েছেন? নাকি নিজ থেকে আত্মগোপনে গেছে সেটিই এখন দেখার বিষয়।