পানিতে ফুল ভাসিয়ে পুরনো বছরকে বিদায় নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে পাহাড়ে বসবাসরত পাহাড়িরা। মঙ্গলবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন স্থানে ফুল ভাসায় পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর লোকজন।
বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল ভাসানো উৎসব আয়োজন করে। বৈসাবী উদযাপন কমিটি শহরের রাজবাড়ি ঘাটে ফুল ভাসানো উৎসব আয়োজন করে। এটি উদ্বোধন করেছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান।
এছাড়া ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশন গর্জনতলিতে, জুমফুল থিয়েটার বন্দুকভাঙার বালুচরে ফুল ভাসানো উৎসব আয়োজন করে।
বাংলা পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ফুল ভাসায় ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর লোকজন। তারা বিশ্বাস করেন এ ফুল ভাসানোর মধ্যে দিয়ে পুরনো বছরে মুছে গিয়ে নতুন বছরে সুখ শান্তি বয়ে আনে।
বৈসাবীকে কেন্দ্র করে পুরো পাহাড় জুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। স্থানীয়রা ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনও মেতেছে এ উৎসবে। ফুল ভাসানো উৎসব উদ্বোধন করতে এস-
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি পাহাড়ের এত আনন্দ এত রং দেখে আমি আনন্দিত। পাহাড়িদের এ উৎসব বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে উজ্জল করেছে। পাহাড়ের মানুষ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে এ বৈসাবী পালন করছে। জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা এ উৎসবে যোগ দিয়েছে। এ ধরণের বাংলাদেশ পেয়ে আমরা গর্ববোধ করি’।
১৩ এপ্রিল মঙ্গলবার মুল বিজু। এদিন ঘরে ঘরে খাবারের আয়োজন চলবে। ১৫ ও ১৬ এপ্রিল মারমাদের জল উৎসবের মধ্যে দিয়ে পাহাড়ের ১৫ দিন ব্যাপী বৈসাবী উৎসব সমাপ্ত হবে।