খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় বিষাক্ত মরণব্যাধি তামাকের চুল্লীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
মঙ্গলবার দুপুরে দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী ইউপির হাচিনসনপুর এলাকায় তামাক চুল্লীতে ভ্রাম্যমান আদালতের এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ-সময় পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ৬(ক) ধারা লংঘনে ১৫(১)৪ ধারার বিধানমতে পৃথক ৪ টি মামলায় ৭০হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এদের মধ্যে মরণব্যাধি তামাক উৎপাদন কারী জয়নাল আবেদীনকে ১০হাজার, ইউনুস মিয়া ২৫ হাজার, নুরূল আবসার ২৫ হাজার, দেলোয়ার হোসেন ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
দীঘিনালা উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর অন্তত ৪১৪ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ করা হয়েছে।
দীঘিনালা পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, প্রশাসনের এই ধরনের অভিযান’কে সাধুবাদ জানাই, তামাক পুড়তে যে পরিমাণ বনায়ন ধ্বংস করা হচ্ছে। তাতে এখানকার পরিবেশ হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম চলমান রাখলেই, এ অঞ্চলের তামাক নিরুৎসাহিত করা সম্ভব। পরিবেশ সুরক্ষায় তামাক উৎপাদন বন্ধ ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
মরণব্যাধি তামাক চুল্লীতে অভিযান পরিচালনা শেষে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে তামাক-চুল্লি স্থাপনের ক্ষেত্রে কোনো সুস্পষ্ট বিধি-বিধান নেই। এ-সব তামাক চুল্লীতে বনায়ন ধ্বংস করে বিষাক্ত তামাক পোড়ানো হচ্ছে, এতে করে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ছে তাছাড়া বায়ুদূষণ ও হচ্ছে। তামাক চুল্লীতে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।