পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি উন্নয়ন সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সরকারকে বিশেষভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের দিকে নজর দিতে হবে। তবে এ এলাকটি দেশের জন্য বোঝা না হয়ে সম্পদে পরিণত হবে। কথাটি বলেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
বুধবার (২৫ মে) দুপুরে রাঙামাটি জেলা পরিষদ ভবনে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য, কর্মকর্তা এবং হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বীর বাহাদুর।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের দুঃখ কষ্ট বুঝেন বলেই পার্বত্য চুক্তি সম্পাদন করেছেন। এ চুক্তির আলোকে পার্বত্য মন্ত্রনালয়,তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যেমে পার্বত্য চট্টগ্রাম সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, চুক্তি এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি ঠিক। তবে এ বাস্তবায়ন নিয়ে হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। এ চুক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বাস্তবায়ন করবেন।
বীর বাহাদুর আরো বলেন অতীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রাণী সম্পদ, কৃষি, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য ইত্যাদি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছিল। কিন্তু এ বোর্ডেরে কাছে সংশ্লিষ্ট কোন এক্সপার্ট ছিল না। ফলে এসব প্রকল্প সফলতার মুখ দেখেনি। অথচ জেলা পরিষদের কাছে সমস্ত এক্সপার্ট বিদ্যমান আছে। এদের দিয়ে সরকারী প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হলে সরকার যে উদ্দেশ্যে প্রকল্প গ্রহণ করবে সে উদ্দেশ্য পুরণ হবে। তাই আগামীতে উন্নয়ন বোর্ডকে শুধুমাত্র সড়ক অবকাঠামো প্রকল্প দেওয়া হবে। বাকীগুলো জেলা পরিষদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দফতরের তৈরি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
বীর বাহাদুর আরো বলেন, শিক্ষা নিয়ে যারা দুর্নীতি করবে তাদের বিন্দু মাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। পাহাড়ের ছেলে মেয়েদের মানুষ করতে হবে। তাদের পড়াতে দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। নিয়োগে যেন মেধাবীদের নিয়োগ দেওয়া হয় সেজন্য জেলা পরিষদকে নির্দেশ দেন বীর বাহাদুর।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সত্যেন্দ্র কুমার সরকার। সভায় বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য সুবির কুমার চাকমা, প্রবর্তক চাকমা, সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক তপন কুমার পাল, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, জেলা প্রাণষী সম্পদ কর্মকর্তা বরুন কুমার দত্ত।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন