রাষ্ট্র পরিচালনার চতুর্থ স্তম্ব গণমাধ্যম। কিন্তু বর্তমান সময়ে কিছু অপ সাংবাদিকতার কারণে গণমাধ্যম প্রশ্ন বিদ্ধ হচ্ছে। সাংবাদিককে এখন সাংঘাতিক বলা হচ্ছে। সম্মানজনক পেশাকে হেয় করা হচ্ছে। এটি বন্ধ করতে হবে।
সাংবাদিকতার সম্মান রক্ষা করতে হবে। সাংবাদিকতাকে সুষ্ঠ ধারায় ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল কাজ করছে। কেউ যেন সাংবাদিকতার নামে অপ সাংবাদিকতা করতে না পারে সেজন্য প্রেস কাউন্সিল কাজ করছে। সাংবাদিককে অবশ্যই সর্বনিম্ন স্নাতক পাস হতে হবে।
কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম।
শনিবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে প্রেস কাউন্সিল আইন ও আচরণবিধি এবং তথ্য অধিকার আইন অবহিতকরণ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন নাসিম।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকতার নামে কেউ অপ সাংবাদিকতা করলে তার জন্য শাস্তি রেখে আইন করা হচ্ছে। অপ সাংবাদিকতা করলে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রেখে আইন তৈরি করা হচ্ছে। এতেও যদি অপসাংবাদিকতা রোধ না হয় তাহলে জেলের ব্যবস্থা করা হবে।
তবে হত্যা ধর্ষণসহ অন্যান্য ফৌজদারী অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে সাধারণ আইনে বিচার করতে প্রেস কাউন্সিল সুপারিশ করবে। প্রকৃত কোন সাংবাদিক যেন হয়রানীর শিকার না হয় এবং ন্যায় বিচার পায় সেজন্য কাজও করবে প্রেস কাউন্সিল। সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোন অপরাধ কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠলে তা প্রথমে প্রেস কাউন্সিলে উত্থাপন করতে হবে বলেন প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান।
প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আরো বলেন, সাংবাদিককে অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রীধারী হতে হবে। এর চেয়ে কম শিক্ষাগত যোগ্যতায় সাংবাদিক হওয়া যাবে না। তবে যারা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করেআসছেন এমন অভিজ্ঞতা থাকলে তাকে সাংবাদিক হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
প্রকত সাংবাদিক কারা তা নির্ধারণ করতে প্রেস কাউন্সিল একটি ডাটাব্যাচ তৈরি করছে। এ কাজ চলমান। শুধু একটি কার্ড রাখলে তাকে নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেয়া যাবে না। সাংবাদিককে অবশ্যই বৈধ গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়োগ পত্র থাকতে হবে।
যেসব গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ দিয়ে বেতন ভাতা দেয় না সেগুলো চিহ্নিত করে সরকারী বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেন প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান।
রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আল মামুন মিয়ার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহেদুল ইসলাম, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল। কর্মশালা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব (অতিরিক্ত সচিব) মো. শাহ আলম।