রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের গাঁ ঘেঁষে কয়েকশত পরিবারের ঝুঁকিপুর্ন ভাবে দির্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছেন।
সুত্র জানায়, কাউখালী উপজেলার চারটি ইউনিয়ন বেতবুনিয়া, ফটিকছড়ি,ঘাগড়া, কলমপতি। এসব ইউনিয়নের প্রায় গ্রামগুলি ছোটবড় পাহাড়ে বা পাহাড়ের ডালুতে এবং পাহাড়ের গাঁ ঘেষে অবস্থিত। যদিওবা এসব পাহাড়ী গ্রামগুলির বেশিরভাগ মানুষ গুলি খুবই সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্থ।
কিন্তু এসব এলাকার মানুষের বসবাসের জন্য পাহাড়ের পাশে বা ছোট ছোট পাহাড়ের উপর অথবা পাহাড়ের একদম গাঁ ঘেষে বহু বছর ধরে বাড়িঘর বাগান সৃজন করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন।
প্রতি বর্ষায় অতি বর্ষণের ফলে এসব বসতি গুলির কম বেশি বাড়িঘরের এবং জানমালের কম বেশি ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে। বিশেষ করে পুরো বর্ষা মৌষুমে এ ধরনের ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেকা যায় উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের গাড়িছড়া, আমতল, আবুল হোসেন গুচ্ছগ্রাম, ডাক্তার ছোলা, সোনাইছড়ি, গজালিয়া, তালুকদার পাড়া, ফটিকছড়ি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পাহাড়ী এলাকার ডাবুয়া, বার্মাছড়ি, ক্ষিরাম এলাকা, ঘাগড়া ইউনিয়নের ঘিলাছড়ি, তালুকদার পাড়া, যৌথ খামার, শামকছড়ি, তালুকদার পাড়া, পানছড়ি, ঘাগড়া রাঙামাটি চট্টগ্রাম মহাসড়কের কলাবাগান, গাইয়াছড়া, আনসার ক্যাম্প এলাকা, ঘাগড়া বাজার এলাকা, হেডম্যানপাড়া, ঘাগড়া জুনুমাছড়া সড়কের পাশে পাহাড়ের পাশে সমস্থ বাড়িঘরগুলি এবং কলমপতি ইউনিয়নের পোয়াপাড়া, টিটিসি এলাকা, নাইল্যাছড়ি সুগারমিল সড়কের দুই পাশের পাহাড়ে, তারাবুনিয়া পাড়া, ডাববুনিয়া ছড়া, মাঝের পাড়া, বড়ইছড়ি এলাকা, ছাগলখাইয়া এলাকায় কয়েকশত পাহাড়ী বাঙালী পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে দির্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ছাইলাপ্রু মারমা, মো. জামশেদ, রিপাত, অমিয় চাকমা সহ অনেকেই ক্ষোভের সহিত বলেন আমরা যারা পাহাড়ে বসবাস করি তারা পাহাড়ের পাশে বা পাহাড়ের উপর এবং পাহাড়ের নিছে ছাড়া পরিবার পরিজন ছাড়া কোথায় বসবাস করবো বলেন ? আমরা তো সমতলের বাসিন্দা না। সমতল আর পাহাড়ী এলাকা তো এক নয়। পাহাড় ছেড়ে আমরা যাব কোথায়। তা ছাড়া আমরা যারা একানকার বাসিন্দা পাহাড়ী/বাঙালী সবারই একই দশা। আমাদের জানমালের নিরাপত্তা আমাদেরই নিতে হবে বলে তারা জানান।
পরিশেষে উপজেলার চার ইউনিয়নের পাহাড়ের পাশে বসবাসরত ঝুকিঁপুর্ন এসব পাহাড়ী বাঙালী পরিবারগুলি যদিওবা দির্ঘদিন যাবত পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনের বেচেঁ থাকার প্রয়োজনে বসবাস করে আসছেন অবার প্রতি বর্ষা মৌষুমে প্রবল বর্ষণের ফলে পাহাড় ধ্বস হয়ে অনেক সময় অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে বলে উপজেলার সংশ্লিষ্ট সচেতন মহল মনে করেন।
এ ধরনের ঝুকিঁপুর্ন বসবাসের ব্যাপারে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্টান জণসচেতনতামুলুক এবং সতর্কতামুলুক প্রচার কার্য্যক্রম পরিচালনা করলে এসব এলাকার মানুষজন অনেক সচেতন হতো বলেও অনেকে মনে করেন।