রাঙামাটির কাউখালীতে হোপ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে প্রসবজনিত ফিস্টুলা সনাক্তকরণ ক্যাম্প গতকাল রবিবার দুপুর ১২টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুষ্টিত হয়।
কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফিস্টুলা রোগের সনাক্তকরণ আয়োজিত ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা: সুইমি প্রু রোয়াজা।
এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের র্আএমও ডা: ইফতেখারুল আলম ফরহাদ, উপজেলা প্রেস ক্লাব সহ-সভাপতি মো: ওমর ফারুক, হোপ ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রামের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাবুল কান্তি চৌধুরী,হোপ ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার আজমুল হুদা, ককস্বাজার হোপ ফাউন্ডেশন হসপিটালের ডা: তানিন,রাঙামাটি জেলার হোপ ফাউন্ডেশন ফিস্টুলা ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর তটিনী চাকমা সহ ক্যাম্পে উপস্থিত উপজেলা বিভিন্ন এলাকা হতে আগত সেবা গ্রহিতা মা বোনেরা।
ফিস্টুলা রোগ সংক্রান্ত আয়োজিত ক্যাম্পে বক্তারা তাদেও বক্তব্যে বলেন,প্রসবজনিত কারনে বা বাচ্চা প্রসব বাধাঁগ্রস্থ হলে এবং দির্ঘ সময় প্রসব বেদনা চলতে থাকলে মায়েদের প্রস্রাব এবং মল থলিতে অতিরিক্ত চাঁপ পড়ে। ফলে চাঁপ পড়া স্থানের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং ছিদ্র হয়ে যায়। এরপর থেকে প্রস্রাবের রাসÍা দিয়ে অনবরত প্রস্রাব এবং মল অথবা এর যে কোন একটি ঝরতে পারে। এটিই ফিস্টুলা রোগ।
ফিস্টুলা রোগে আক্রন্ত মায়েদের শরীর থেকে সারাক্ষন দুর্গন্ধ ছড়ায়।সংসার ভেংগে যায়।তাকে এক ঘরে করা হয়। আমৃত্য সমাজ সংসার থেকে আলাদা হয়ে সেই নারী কে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য করা হয়। এমনকি সহায় সম্বলহীন হয়ে আমাদের এই সমাজে অনেক মা বোন কে ভিক্ষা বৃত্তি করতে পরিস্থিতি বাধ্য করেন বলে বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০১৯ ইং সালে হোপ ফাউন্ডেশন কে চট্টগ্রাম বিভাগ কে ২০৩০ ইং সালের মধ্যে ফিস্টুলা মুক্ত করার জন্য দায়িত্ব প্রদান করেন।
পরে ক্যাম্পে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হতে অনেক মা বোন বিশেষ করে প্রসব পরবর্তী অনেক নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই ক্যাম্পে উপস্থিত হন এবং ফিস্টুলা বিষয়ক রোগ বিষয়ে চেকআপ করান।
ইতিমধ্যে এই উপজেলায় দুইজন নারীকে ফিস্টুলা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তারা হোপ ফাউন্ডেশনের হসপিটালে বিনা পয়সায় চিকি?সা সেবা গ্রহন করেন এবং তারা সুস্থ্য হন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানান। এই কর্মসুচি এই উপজেলায় অব্যাহত থাকবে বলে হোপ ফাউন্ডেশনের কর্তৃপক্ষ জানান।