পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি বিনষ্টকারী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন পার্বত্য অঞ্চলের কুকি চিন নামে সংঘঠন পাহাড়ের শান্তি বিনষ্ট করতে মাঠে নেমেছিল। তাদের সাথে যোগ দিয়েছে দেশের একটি জঙ্গী সংগঠন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও র্যাবের যৌথ অভিযান রাঙামাটি ও বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় সন্ত্রাসী আস্তানা গুড়িয়ে দিয়ে কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। দেশেও পার্বত্য অঞ্চলে যেখানেই যারা অশান্তি সৃষ্টি করতে তাদেরকে দমনে সরকার কাজ করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। গতকাল ১২ নভেম্বর শনিবার বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে বিজয়া পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এমপি একথা বলেন।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক অমলেন্দু হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিজয়া পুর্নমিলনী সভায় বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, (সদর সার্কেল)অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, রাঙামাটি পৌর সভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীসহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব শিক্ষক রনতোষ মল্লিক ও সদস্য নন্দন দেবনাথ।
দীপংকর তালুকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি চুক্তি হয়েছে। শান্তি চুক্তির আলোকেই পাহাড়ের প্রতিটি সম্প্রদায়ের কল্যাণে আওয়ামীলীগ কাজ করছি আমরা। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যাণে কাজ করে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে আওয়ামীলীগ কিন্তু একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী পাহাড়ের শান্তি বিনষ্ট করতে প্রতিনিয়ত উঠে পড়ে লেগেছে বলে মন্তব্য করেন দীপংকর তালুকদার।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। প্রতিটি সম্প্রদায় যাতে এই অঞ্চলে নিজ নিজ ধর্ম চর্চা করতে পারে তার জন্য বোর্ড পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের নির্দেশেনা মোতাবেক উন্নয়ন প্রকল্প করে যাচ্ছে। আগামীতেও সনাতন সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কাজ করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, পার্বত্য রাঙামাটির সনাতন সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতীতের সকল দ্বন্ধ ভুলে গিয়ে এই সমন্বয় কমিটির মাধ্যমেই সুন্দর একটি শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীতে এই কমিটি একটি শাক্তিশালী বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা কমিটি গঠন করে পার্বত্য রাঙামাটি সনাতন সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করে রাখবে বলেও মন্তব্য করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
সভায় বাংলাদে পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ, রাঙামাটি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটি, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ রাঙামাটি, সনাতন যুব পরিষদের নেতৃবৃন্দ রাঙামাটি ১০ উপজেলার ৪২ টি শারদীয় দূর্গোৎসব কমিটির নেতৃবৃন্দ ও রাঙামাটি জেলার সকল মঠ মন্দিরের প্রতিনিধিরা এই সভায় অংশ গ্রহণ করেন।