মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর দেড় টা। রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা এবং চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী দিয়ে বহে চলা কর্ণফুলির নদীর উত্তর পাড়ে ফেরি হতে নামার জন্য অপেক্ষা করছেন রাজশাহী নাটোর হতে আসা জুয়েল এবং সিন্ধু আবেদ। তাঁরা কার নিয়ে বান্দরবান জেলা হতে কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী হয়ে ফেরিতে উঠেছে ওপারে চন্দ্রঘোনা দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাবার জন্য। এসময় কর্ণফুলি নদীতে জোয়ার থাকায় ফেরির পল্টুনে হাঁটু সমপরিমাণ পানি উঠায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং তাঁদের বহনকারী কারটি ফেরিতে অপেক্ষা করতে থাকে। এছাড়াও ফেরি হতে কর্ণফুলী নদীর উত্তর পাড়ে উঠার জন্য বেশ কয়েকটি যানবাহনকে ফেরিতে অপেক্ষা করতে দেখা যায় । কিছু ভারি যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে তীরে উঠতে পারলেও অনেক যানবাহনকে কখন ভাটা পড়বে তাঁর জন্য অপেক্ষা করতে হয়। একই দৃশ্য দেখা যায় নদীর উত্তর পাড়ে চন্দ্রঘোনা অংশে। এসময় ফেরিতে উঠতে না পারে সড়কে গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
এসময় ফেরিতে কথা হয় জুয়েল এবং সিন্দু আবেদ এর সাথে। তাঁরা বলেন, বান্দরবান হতে চট্টগ্রাম রওনা করার জন্য ফেরিতে উঠেছি। কিন্ত এপারে এসে জোয়ারের কারনে পল্টুনে পানি আসায় আর উঠতে পারছি না। আমাদের কার ফেরিতে আটকে আছে।
এসময় সরকারি প্রচার কাজে রাইখালীতে অংশ নিতে যাওয়া কাপ্তাই তথ্য অফিসের সরকারি যানবাহনটি ফেরিতে আটকে থাকে। এই গাড়ির চালক মো: হামিদ বলেন, সরকারি বিভিন্ন প্রচার কাজে আমাদেরকে প্রায়:শ এই ফেরি ব্যবহার করে রাইখালী, রাজস্থলী এবং বাঙ্গালহালিয়ায় যেতে হয়। কিন্তু কর্ণফুলি নদীতে জোয়ার আসলে ফেরির পল্টুনে পানি উঠে গেলে আমাদের ভাটা না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
কথা হয় ট্রাক চালক আমজাদ হোসেন ও সালাউদ্দিন এবং সিএনজি চালক জাহাঙ্গীর আলম এর সাথে। তাঁরা সকলেই বলেন, প্রতিদিন এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি আমরা। জোয়ার আসলে ফেরির পল্টুনে পানি উঠে, ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হয়। যদি এই কর্ণফুলি নদীতে একটি স্থায়ী সেতু হয়, তাহলে এই সমস্যার সমাধান হবে।
ফেরির কর্মচারী মো: হাসান আহমেদ বলেন, জোয়ার আসলে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা পল্টুনে পানি থাকে। তখন হালকা যানবাহন চলাচল করতে বেশ কষ্ট হয়।
প্রসঙ্গত: চন্দ্রঘোনা- রাইখালী এই ফেরি ব্যবহার করে প্রতিদিন পাবত্য চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম জেলার শত শত যানবাহন চলাচল করে এই নৌ রুটে।