খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বোয়ালখালী ইউপি‘র উত্তর থানা পাড়ায় বিদুৎ সটসার্কিটের আগুনে ১৪ বসতঘর পুড়ে ছাই। স্থানীয়দের অভিযোগ বিদুৎ বিভাগের গাফলতির কারনে আগুনে ১৪ বসতঘর পুড়েছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনা জানেন না আবসিক প্রকৌশলী।
জানাযায়, ৯ ফেব্রুয়ারী বৃহঃস্পতিবার রাত পোনে ৩ টায় দীঘিনালার উত্তর থানা পাড়ায় বিদুৎ সটসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে, এসময় মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকান্ডের সাথে সাথে দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও খাগড়াছড়ি সদর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের যৌথ প্রচেষ্টায় পোনে ৩ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল পোনে ৬ টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
সরেজমিনে দেখাযায় অগ্নিকান্ডে বসতঘর, আসবাবপত্র, বই, টাকা, ছাগল, হাস, মুরগী ও টাকা পুড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসয় স্থানীয় মোঃ মোবারকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, অগ্নিকান্ডের সাথে সাথে চারদিকের মানুষ সহযোগীতার জন্য ছুটে আসেন, বিদুৎ সংযোগ বন্ধ না করার কারনে আগুন নিভানোর কাজে সহযোগীতা করতে পারছেননা। মুহূর্তে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
পুড়ে যাওয়া বসতঘরের মালিক মোঃ শাহিন জানান, আগুন লাগার সাথে সাথে দীঘিনালা আবাসিক প্রকৌশলী অধিদপ্তরে ফোন করে জানানো হলেও সাথে সাথে বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। অন্তত ৩০ মিনিট পরে বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এতে করে আগুন নিয়ন্ত্রন ব্যাঘাত ঘটে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে পোনে ৩ ঘন্টায় আগুন নিয়ন্ত্রন করা হয়।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক শিমুল মোহাম্মদ রফি, জানান, আমাদের খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের ৪ টি ইউনিট যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নুরে-নবী জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে দেরি হওয়া আমাদের কাজের ব্যাঘাত ঘটেছে, তাছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের যৌথ ৪ টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। আনুমানিক ১ কোটির টাকার সম্পদ পুড়েছে।
দীঘিনালা আবাসিক প্রকৌশলী(ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা সন্তোষ চাকমার কাছে দীঘিনালার অগ্নিকান্ডের ঘটনা ও বিদুৎ বিভাগের গাফলতি সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি জানান, দীঘিনালা অগ্নিকান্ডের ঘটনা আমার জানা নেই। এসময় তিনি আরো জানান দীঘিনালা কোথায় অগ্নিকান্ড হয়েছে তা জানি না। আমার মুঠোফোনে কল করা হয়নি। আমার মুঠোফোনে কল করা হলে আমি বলে দিলে বিদুৎ সংযোগ বন্ধ করতে বলে দিতাম।