রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে প্রজনন মৌসুমে মাছ শিকারে তিনমাসের নিষেধাজ্ঞা আরও ২ দিন বাড়িয়ে ২ আগস্ট দিবাগত রাত ১২ টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সাথে মৎস্য অবতরণ ঘাটগুলোতে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাছের শুল্কায়নের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ (সোমবার, ২৮ জুলাই) রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ‘কাপ্তাই হ্রদ হতে মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সংক্রান্ত সভা’য় এই সিদ্ধান্ত জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ।
সভায় বলা হয়, আগামী ২আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদের মাছ শিকার, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ থাকবে। এসময় মাছ ধরায় সরকার নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তবে নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলেদের জন্য ভিজিএফ চাউল সারা দেশের ন্যায় মাসে ৪০ কেজি করার দাবি জানিয়েছেন জেলেরা।
মূলত, হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের সুষ্ঠু প্রাকৃতিক প্রজনন ও বিকাশের স্বার্থে প্রতিবছর কাপ্তাই হ্রদে ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। হ্রদে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞাকালীন মৎস্য আহরণের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ২৬ হাজার জেলেকে বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে।
সভায় রাঙামাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজহারুল ইসলাম মুকুল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আসমা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাস, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটির উপ ব্যবস্থাপক মো: মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নৌ পুলিশ প্রতিনিধি, জেলে ও মৎস্যজীবী প্রতিনিধিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন-আগামী ২ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে কাপ্তাই হ্রদের মাছ শিকার, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ উন্মুক্ত হবে। সভায় উপস্থিত জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের আলোচনার ভিত্তিতে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এরআগে গত ১৬ এপ্রিল কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্হাপনা কমিটির সভাপতি রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাসের এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।