বিএনপি’র ৪৫-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিতে ব্যাপক লোক সমাগমের পাশাপাশি বড়ো চমক হয়ে দেখা দিয়েছেন, সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূঁইয়া;র সহ-ধর্মিনী জাকিয়া জিনাত বীথি।
শুক্রবার দলীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই কর্মসূচিতে জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূঁইয়া নিজে উপস্থি থাকলেও তিনি ছিলেন সব সময় দ্বিতীয় সারিতেই।
বিএনপি’র নেতাকর্মীরা জানান, এর আগে অনানুষ্ঠানিক কয়েকটি দলীয় কর্মসূচিতে ওয়াদুদ পত্নী অংশ নিলেও এবারই প্রথম কোন বড়ো কর্মসূচিতে নিজেকে প্রকাশ করলেন। এটাকে দলীয় সূত্রগুলো, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে দলীয় প্রার্থীতার ঈঙ্গিত বলেই তাঁরা মনে করছেন।
দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপাপ্ত হলে ২০০৮ সাল এবং ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সেই আশঙ্কা থেকে আগেভাগেই নিজের স্ত্রীকে রাজনীতির মাঠে নামাচ্ছেন বলেই নেতাকর্মীদের বদ্ধমূল ধারণা।
এদিকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শোভাযাত্রার আগে কলাবাগান এলাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া অভিযোগ করেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি বানচাল করতে নেতার্মীদের নামে এক দিন আগে মিথ্যা মামলা দায়ের, গ্রেফতার, বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে গিয়ে হুমকি-ধমকি ও পথে পথে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এ সরকারের খেলা শেষ। তাদের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। তাই উন্মাদের মতো আচরণ করছে।
পরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি ভাস্কর্যে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় হাজারো নেতাকর্মীর শ্লোগানে খাগড়াছড়ি মুখর হয়ে উঠে। র্যালি শেষে বর্ষপূর্তির কেক কাটা হয়।
এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার, সহসভাপতি যথাক্রমে প্রবীন চন্দ্র চাকমা, আবু ইউসুফ চৌধুরী, ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা, কংচারী মারমা ও মংসুইথোয়াই চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক যথাক্রমে এডভোকেট আব্দুল মালেক মিন্টু, মোশাররফ হোসেন ও অনিমেষ চাকমা রিংকু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব রাজা ও আবু তালেব এবং কোষাধ্যক্ষ মফিজুর রহমানসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০১ সাল ২০০৬ সাল পর্যন্ত খাগড়াছড়ি সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূইয়া ‘ওয়ান-ইলেভেন’ সরকারের আমলে দুনীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে জেল খাটেন। এবং পরে ওই মামলায় সাজাপ্রাপাপ্ত হলে ২০০৮ সাল এবং ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সেই আশঙ্কা থেকে আগেভাগেই নিজের স্ত্রীকে রাজনীতির মাঠে নামাচ্ছেন বলেই নেতাকর্মীদের বদ্ধমূল ধারণা।