পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে সদ্য আত্মপ্রকাশ করা রাঙামাটি পর্যটন শিল্প সমবায় সমিতি লিমিটেডের অফিস আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টায় শহরের হোটেল সুফিয়াসংলগ্ন সমিতির এ অফিসটি ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার।
পরে হোটেল সুফিয়ার সম্মেলন কক্ষে রাঙামাটি পর্যটন শিল্প সমবায় সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘রাঙামাটি পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা ও উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি দীপংকর তালুকদার ছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা সমবায় কর্মকর্তা মৌসুমী ভট্টাচার্য ও কোতোয়ালি থানার ওসি আরিফুল আমিনসহ অন্যরা। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ফদাং তাং রান্দালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পর্যটন শিল্পের স্থানীয় উদ্যোক্তা মো. সোলাইমান।
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, রাঙামাটিসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এসব সম্ভাবনা কাজে লাগালে পার্বত্য এলাকায় আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে এ অঞ্চলের জীবনমান ও দৃশ্যপট দ্রুত পালটে যাবে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, স্থানীয় পর্যটন বিভাগকে সরকার পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তর করেছে। সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগিয়ে কীভাবে এ জেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়ন করা যায়- তা নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পর্যটনসংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে বড় সমস্যা অবৈধ অস্ত্র। এ সমস্যা দূর করা না গেলে এখানে সুষ্ঠুভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন করতে গেলে তার আগে অনেক কিছুর পদক্ষেপ দরকার। প্রথমত শহরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বিশুদ্ধ পানির সংকট দূর করতে হবে। মানসম্মত রিসোর্ট গড়ে তুলতে হবে। রিসোর্টে কোনো রকম নোংরামি করা যাবে না। কিন্তু পাহাড়ে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে প্রধান অন্তরায় হল অবৈধ অস্ত্র। এখানে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানির ভয়ে পর্যটকরা আসতে ভয় পান। অবৈধ অস্ত্রধারীদের চাঁদাবাজিতে কেউ নিরাপদ নন। অবৈধ অস্ত্রধারীদের প্রতিরোধে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃক্সখলা বাহিনী তৎপরতা চালােিয় যাচ্ছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা গেলেই তবে সম্ভব পাহাড়ে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। সে লক্ষ্যেই এগোতে হবে।