পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের চতুর্থ সংঘরাজের মহা প্রয়ানে রাঙমাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের শোক।
পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশের চতুর্থ সংঘরাজ সাদা মনের মানুষ উপাধি প্রাপ্ত, মায়ানমার সরকার কর্তৃক “অগগপন্ডিত” উপাধি প্রাপ্ত, কাচালং শিশু সনদের প্রতিষ্ঠাতা ও মগবান শাক্যমনি বৌদ্ধ বিহারে আজীবন অধক্ষ্য ভদন্ত তিলোকানন্দ মহাথের প্রয়ানে গভীর শোক জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী।
রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো শোকবার্তায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অং সুই প্রু চৌধুরী বলেন, পূজনীয় ভান্তে মহাপ্রয়ানে আগ পর্যন্ত ধর্ম প্রচারের পাশাপাশি মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এমন এক মহাপুরুষের মহাপ্রয়ানে এলাকার তথা সকল বৌদ্ধধর্মের অনুসারীরা শোকাহত। পূজনীয় ভান্তে নির্বাণগামী হোক এ প্রার্থনা করছি।
এদিকে পন্ডিত এ ভিক্ষুর প্রয়ানে শোক জানিয়েছেন, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের কেন্দ্রীয় সভাপতি ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের।
শোক বার্তায় তিনি বলেন, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা মণ্ডলীর সদস্য, মহামান্য ৪র্থ সংঘরাজ, কাচালং শিশু সদনের প্রতিষ্ঠাতা, ইউনিলিভার লি. কর্তৃক সাদা মনের মানুষ উপাধিপ্রাপ্ত, মিয়ানমার সরকার কর্তৃক অগ্গমহাপন্ডিত উপাধিপ্রাপ্ত ও মগবান শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ পরম শ্রদ্ধেয় ভদন্ত তিলোকানন্দ মহাথের
মহোদয় ২রা নভেম্বর ২০২৩ খ্রি. বৃহস্পতিবার রাত ১১.৫৫ টায় ৮৬ বছর বয়সে মহাপ্রয়াণে (২৮ আগস্ট ১৯৩৭- ২ নভেম্বর ২০২৩) শায়িত হন। তাঁর মহাপ্রয়াণে বিন¤্রচিত্তে মর্মাহত ও শোকাহত। পূজনীয় ভান্তের পারলৌকিক সুখ সদ্গতি ও নৈর্বানিক সুখ কামনা করছি। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র ও মহান আদর্শ পুরুষ। শাসন সদ্ধর্মের শ্রীবৃদ্ধি ও শিক্ষার বিস্তারে আমৃত্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ সহ পার্বত্য অঞ্চলের বৌদ্ধ সমাজে বিরাট ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তাঁর মহাপ্রয়াণে এক গৌরবময় ইতিহাসের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। পার্বত্য উপত্যকায় বৌদ্ধ জনগৌষ্ঠীসহ শিক্ষানুরাগী প্রতিটি মানুষ তাঁর শুন্যতা বহুকাল অনুভব করবে।