বড় দিনের উৎসব দেখতে যাওয়ার পথে স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জুরাছড়ি সদর ও দুমদুম্যা ইউনিয়ন সীমান্তবর্তী থাচি মোন পাড়া এলাকা থেকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত রাসেল চাকমা ও রুবেল চাকমাকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন।
উল্লেখ্য গত ২৪ ডিসেম্বর বিকালে স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রী তার বান্ধবী ও চার ছেলে বন্ধু নিয়ে রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নের বসন্ত মোন পাংখোয়া পাড়ায় বড় দিনের উৎসব দেখতে যায়। যাওয়ার পথে একটি পরিত্যক্ত জুম ঘরে অবস্থান করে।
সেদিন রাত দেড়টার দিকে রাসেল চাকমা, রুবেল চাকমাসহ চার যুবক জুম ঘরে গিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। নিরাপত্তার কথা বলে রাসেল চাকমা এক ছাত্রী ও রুবেল চাকমাসহ অন্য ৩ জন এক ছাত্রীকে নিয়ে যায়। কিছুদুর নিয়ে রাসেল চাকমা এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন করে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে রাঙামাটি কতোয়ালী থানায় ঘটনার শিকার স্কুল ছাত্রীটির বাবা থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
এতে মামলায় অক্ষয় চাকমার ছেলে রাসেল চাকমা(৩২) কে প্রধান আসামী, অরুন চাকমার ছেলে রুবেল চাকমা(২৮) ও অজ্ঞাতনামা ২ জনকে উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাঙামাটি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম ও রাঙামাটি কতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী।
জুরাছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক নির্মল ত্রিপুরা জানান, তার নেতৃত্বে ধর্ষনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রামবাসীদের হাতে আটক দুজনকে সেগুন বাগান এলাকা থেকে গ্রহণ করতে রওনা দিয়েছি।
আটক দুজনকে বুধবার সকালের দিকে স্থানীয়রা সীমান্তবর্তী দুর্গম থাচি পাড়া থেকে তাদের আটক করেছে। থাচি পাড়ায় আটক দুজনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করবে।
জুরাছড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা দুজনকে আটকের ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত দুজনকে থাচি পাড়া গ্রামবাসী আটক করে আমাদের খবর দেওয়া হয়। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় আসামীদের আনতে সময় লাগছে। ইতোমধ্যে জুরাছড়ি থানা পুলিশ আটক দুজনকে গ্রহণ রওনা দিয়েছে।