পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন মানুষের কল্যাণে সংগ্রাম করে গেছেন। সারাটা জীবন স্বপ্ন দেখিয়েছেন, স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্ত্রী, পুত্র, কন্যা সকল কিছু. নিজের স্বার্থকে বাদ দিয়ে, সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য মানুষের স্বার্থের জন্য সংগ্রাম করেছেন। সমস্ত সংগ্রামের ফলে ৪হাজার ৬শ ৮২দিন জেল খাটিয়েছেন। এ রকম মহান নেতা বিশ্বের কোথাও নেই।
বৃহস্পতিবার সকালে খাগড়াছড়ি টাউন হল মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, কর্মময় জীবন ও রাজনৈতিক দর্শনকে ধারণ করে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। স্বাধীনতার পূর্বে এবং আগে পাকিস্তানী দোসরদের ষড়যন্ত্র-অরাজকতা ছিল এখনো তা বিদ্যমান। কষ্টাজিত দেশের জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তা-জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার আহবান জানান।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার), উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ রইস উদ্দিন প্রমুখ।
সভাশেষে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, শিল্পকলা একাডেমি ও শিশু একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা।
এর আগে সকালে টাউন হল প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুন আরা সুলতানা, পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পৌরমেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।