বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) মেহেদী ও আব্দুল খালেক নামে দুই মাদক কারবারি টেকনাফ হোয়াইক্যং নয়াপাড়া থেকে অশোক ল্যান্ড মডেলের ঢাকা মেট্রো-ঠ ১৩-৬৩১৭ কাভার্ড ভ্যান করে ঢাকায় ইয়াবা পাচার করছিল। কাভার্ড ভ্যানটি কক্সবাজার শহরে পৌঁছালে কক্সবাজার ডিবি পুলিশের ইসমাইলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গাড়িটাকে আটক করে। কক্সবাজার থেকে আটক করলেও মামলার এজাহারে চকরিয়া খুটাখালী গর্জনতলী এইচ অটো এলপিজির সামনে দেখানো হয়েছে। নীল ও হলুদ রঙের কাভার্ড ভ্যান থেকে ১লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হলেও মামলার এজাহারে মাত্র ১৫ হাজার দেখানো হয়েছে।
তবে মাদক চক্রের একাধিক কথোপকথনে বলা হচ্ছে, ডিবি পুলিশের এক লাখ পিস ইয়াবা আটক করলেও জব্দ তালিকায় দেখিয়েছে মাত্র ১৫ হাজার পিস। কিন্তু কে সত্যি বলছে? পুলিশ না ইয়াবা চক্র? এই সত্য-মিথ্যা নিয়ে এখন ইয়াবা কারবারিদের মধ্যেই লেগে গেছে রীতিমতো ঝগড়া-বিবাদ বা হট্টগোল।
কথোপকথনে শুনা যায়, অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুই পুলিশ সদস্য কযেকদিন আগে টেকনাফ মডেল থানা ও হোয়াইক্যং ফাঁড়ি থেকেই বদলি হয়ে কক্সবাজার গোয়েন্দা পুলিশ ডিবিতে যোগদান করেছেন। উদ্ধার হাওয়া ইয়াবার ৫ মালিকের মধ্যে একজনের তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচলনা করা হয়। পরে ডিবি পুলিশ কথিত সোর্সকে প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটি রাখেনি বলে সিসিএনের প্রতিবেদককে জানান। পাশাপাশি উদ্ধার ইয়াবা গায়েব করার ভয়ংকর তথ্য দেন।
এদিকে অভিযান ধামাচাপা দিতে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো প্রেস রিলিজ বা সংবাদ সম্মেলন করা হয়নি। অথচ ৫০০ পিস ইয়াবা জব্দের ঘটনায়ও জেলা পুলিশ অন্তত ২০ জন সাংবাদিককে নিউজ করার জন্য প্রেস রিলিজ পাঠান। কিন্তু এই ইয়াবা চালান আটকের পর কোনো সাংবাদিককে জানানো কিংবা কোনো প্রেস রিলিজও দেওয়া হয়নি। ফলে সংবাদমাধ্যমে অভিযানের খবর প্রকাশিত হয়নি।
প্রতিবেদকের হাতে আসা কথোপকথনে ইয়াবার মালিক দাবি করা যুবক বলতে শোনা যায় , এই চালানে আমাদের ৫জনের।এগুলো ঢাকা আগরাবাদ যাবে। সেখান থেকে রিসিভ করা হবে। আমরা ৫জনের একটু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। আমার ৪লক্ষ টাকা ও খালেকের ২০ লাখ টাকার বাজার। বাকী গুলো ঢাকায়ার।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত কক্সবাজার ডিবি পুলিশের এসআই ইসমাইলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিয়মিত টহল দেওয়ার সময় সন্দেহ হলে গাড়িটা তল্লাশি করলে ইয়াবা পাওয়া যায়। সেখানে এক লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছিল সেই প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেনি।
ডিবি পুলিশের ওসি ইমন কান্তি বড়ুয়া জানান, অভিযানের সময় আমি ছিলাম না। নিয়মিত টহল দেওয়ার সময় গাড়ীটা আটক করা হয়। এসময় চালকের আসন থেকে ১৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এক লক্ষ পিস ইয়াবা গায়েব করার প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, গাড়িটা আবার ভালো করে তল্লাশি করতে হবে। হয়তোবা আরও থাকতে পারে। অভিযোগের ব্যাপারে আমরা তদন্ত করবো।


















