আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী উপহারের ঘরগুলো স্বল্প বাজেটে পাহাড়ি এলাকায় বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এ বাজেট আরো বাড়াতে হবে। ডিজাইন পরিবর্তন করতে হবে। আগামীতে পাহাড়ে যে সব ঘর দেওয়া হবে সেগুলো পাহাড়ি ডিজাইনেই তৈরি হবে। কথাগুলো বলেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরীজি।
সোমবার সকালে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ ১০টি উদ্যোগ বিষয়ে অবহিত করণ বিষয়ক এক কর্মশালা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এ কথা বলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক। রুমা উপজেলা সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপি এ কর্মশালা আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, এখানকার পাহাড়িদের ঘর তৈরি করলেও তাদের কোন জমি জমা দলিল নেই। সে কথা বিবেচনা করে নতুন ভোটার হালনাগাদ তাদের হালনাগাদ তালিকা ভূক্তি করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার সুপারিশ নিয়ে ভোটার হতে পারবেন।
এতে জমি জমা কাগজ নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হবে না। তবে মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা ভোটার না হাওয়া জন্য সে ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক ও সজাগ হতে হবে।
এ সময় ২নং রুমা সদর ইউপির দুর্গম ঠান্ডাঝিরি পাড়া নতুন স্কুল স্থাপনের জন্য দুই লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষণা করেন। কর্মশালার শুরুতে উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার মোহাম্মদ দিদারুল আলম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ ১০টি উদ্যোগ বিষয় গুলো মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর মধ্যে দিয়ে উপস্থাপন করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন শিবলীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মার্মা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুম্রাউ মার্মা, বান্দরবান জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোহাম্মদ কায়েসুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান থাংখাম লিয়ান বম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবাব ফারহান।
উন্মুক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন রুমা সাঙ্গু সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুইপ্রুচিং মার্মা, রুমা প্রেস ক্লাবের সভাপতি শৈহ্লাচিং মার্মা, ১নং পাইন্দু চেয়ারম্যান উহ্লামং মার্মা ২নং রুমা সদর ইউপি চেয়ারম্যান শৈমং মার্মা , ৩নং রেমাক্রীপ্রাংসা চেয়ারম্যান জিরা বম, ও ৪নং গালেঙ্গ্যা চেয়ারম্যান মেনরত ম্রো।