প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসাবে জুরাছড়ি উপজেলায় ৭৫ পরিবার পাচ্ছেন “সেমিপাকা ঘর”।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বিশেষ বরাদ্দে এসব ঘর নির্মান করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘর নির্মানের প্রক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ জানান, অত্র উপজেলায় অনেক দুর্গম, এলাকার পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে গরিব ভুমি হীনদের ভুমি ও ঘর নির্মানে জেলা প্রশাসকের কাছে চাহিদা পাটানো হয়। তারই আলোকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অত্র উপজেলায় ৭৫ টি ঘর নির্মানের বরাদ্দ পাওয়া যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ভুমিহীন পরিবারের জন্য গৃহনির্মাণ প্রকল্পের চর্তুথ পর্যায়ের আওয়াতায় বর্তমানে জুরাছড়ি ১৫টি, মৈদং ৯টি ও বনযোগীছড়া ইউনিয়নে ৫১টি ঘর নির্মান করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে এগুলো উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৭৫টি ভুমিহীন পরিবারের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় গৃহনির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫ টি গৃহনির্মাণের জন্য ২ কোটি ১৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে এসব সেমিপাকা ঘর নির্মান কাজ শুরু করা হয়েছে।
গেল ১৫ অক্টোবর বনযোগীছড়া ইউনিয়নের হাল্যারাম পাড়ায় নির্মাণাধীন ঘর পরির্দশন করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এ সময় তিনি গুনগত মান নিশ্চিত করে যথাযথ ভাবে ঘর নির্মান সম্পাদনের নির্দেশ প্রদান করেন।
বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা ও জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইমন চাকমা বলেন, ভুমিহীন দরিদ্র পরিবার গুলো প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পাওয়া কথা শুনে খুশি হয়েছে। কাজের মান নিশ্চিত করে নির্মান কাজ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, নকশা ও কাজের গুনগতমান নিশ্চিত করে কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আশা করা যায় নভেম্বর মাসের মধ্যেই কাজ সমাপ্ত হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যন্ত এলাকা দুমদুম্যা ইউনিয়নে মাচাং ঘর নির্মানের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।