রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরাসভার ৬নং ওয়ার্ডে সামাজিক আইন শৃঙখলা বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার ১১ নভেম্বর বটতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কতৃক আয়োজিত সামাজিক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা।
এ সময় তিনি বলেন, বটতলী এলাকায় পাহাড়ি – বাঙ্গালী একসাথে বসবাস করছে দীর্ঘসময় ধরে। কখনো এখানে পাহাড়ি বাঙালী কাউকেই নিরাপত্তার জন্য কখনো আইন শৃঙখলা বাহিনীর প্রয়োজন হয়নি এটা সব সময় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
কিন্তু বর্তমানে সমসাময়িক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা সমালোচনা রয়েছে তা সমাধানের লক্ষে সবাইকে মনাবিকতা নিয়ে সমন্বয় করে সমাধান করার লক্ষ্যে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথি বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, আমি বাঘাইছড়ি উপজেলায় যোগদানের পর থেকে বটতলী এলাকা থেকে বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি। আজকের সভায় আপনাদের প্রতি অনুরোধ রইলো সকলে আন্তরিকভাবে সমাজে বসবাস করবেন এবং মানবিকতা নিয়ে পরিবারের সকলের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখবেন।
সভায় ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইউসুফ নবী বলেন, সমাজের শৃঙখলা রক্ষার্থে যদি কোন অপরাধীর বিরুদ্ধে যায় তবে কেউ যদি সেটাকে নির্বাচনী ইস্যু বলেন তাহলে আপনাকেও সমান অপরাধী বলে আমি মনে করি। আমার ছেলেও যদি অপরাধী হয় তাহলে তার শাস্তির দাবী আমি সবার আগে জানাবো।
বাঘাইছড়ি থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সর্বদা থানা যেন সকলের আস্থাভাজন একটি স্থানে রূপ নেয়, সেই লক্ষে আমি প্রতিটা ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে সকলের সাথে মত বিনিময় করার চেষ্টা করবো। সকলের আইনের সহয়াতা নিতে থানায় আসবেন পুলিশ আপনাদের পাশে সর্বদা আছে এবং থাকবে।
উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন বলেন, এক সময় বাঘাইছড়ি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশী আলোকিত এলাকা হিসেবে উজ্জ্বল ছিলো বৃহত্তর বটতলী অঞ্চল তথা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড। এই এলাকার পুরনো গৌরব আবার ফিরয়ে আনার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান গিয়াস।
পৌর মেয়র জমির হোসেন সভার সভাপতিত্ব করেন।
মহিলা কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস, কাচালং সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, বাঘাইছড়ি থানার বিভিন্ন কর্মকর্তা সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।