রবিবার , ৫ মার্চ ২০২৩ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

স্কুল শিক্ষকদের বেতনের বোঝা টানছে জুমিয়া দরিদ্র অবিভাবকরা

প্রতিবেদক
সুমন্ত চাকমা, জুরাছড়ি, রাঙামাটি
মার্চ ৫, ২০২৩ ১:৩৮ অপরাহ্ণ

রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার দুমদুম্যা ইউনিয়ন। উপজেলা থেকে ৬৫ কিলোমিটর দূরে ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ের্ড জুড়ে ৩৪টি পাহাড়ী গ্রাম রয়েছে। পাড়ার শতভাগ জুমচাষী। এ এলাকার শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের সুযোগ থাকলেও শিক্ষার্থী প্রাথমিক পর্যায় শেষ হওয়ার পর আশপাশে মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়ে।

এ ঝড়ে পড়া রোধ করতে অবিভাবকরা দুমদুম্যা ইউনিয়নের বরকলক গ্রামে ২০০৭ সালে একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে।
বিনা বেতনে স্থানীয় কিছু যুবক পাঠদান শুরু করে। পরবর্তীতে পাড়াবাসী চাঁদা তুলে একজন প্রধান শিক্ষক, ১১ জন সহকারি শিক্ষকসহ মোট পনের জনকে নিয়োগ দেয়।
প্রতিষ্ঠার পর বিদ্যালয়ে একাধিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন।
দুমদুম্যা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তরুন মনি চাকমা বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর পরেও দুমদুম্যা ইউনিয়নে সরকারি ভাবে মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে ইউনিয়নের শিশুরা প্রাথমিক বিদ্যালয় পেরিয়ে পড়া লেখার ইতি টানতে হয়।
ডানে তেছড়ির সুন্দর মালা চাকমা, বরকলক গ্রামের সোবী চাকমা, দজরী পাড়ার হেমন্ত চাকমা, গাছতলী পাড়ার রেখা চাকমারা বলেন, ২০০৫, ২০০৬ সালে পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ার পর তাদের পড়াশোনা শেষ হয়। দারিদ্রতা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় জুরাছড়ি শহরে গিয়ে বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনি। ফলে প্রাথমিকে লেখাপড়া শেষ হয়।


বরকলক নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লক্ষীরাজ চাকমা বলেন, বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৫৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। পাড়ার মানুষ চাঁদা তুলে আমাদের বেতন দেয়। অনেক অবিভাবকের বেতন দেওয়ার সামর্থ্য নেই। আমাদের বেতন নিয়মিত নয়। আমরা আজকে আছি কালকে নাই অবস্থা। বেতন কম হওয়ার কারণে অন্যান্য শিক্ষকরা থাকতে চায় না। শিক্ষকরা না থাকলে বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যাবে। বন্ধ হলে এ এলাকার শিশুরা শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়বে।
বর্তমান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অনিল বরণ চাকমা বলেন, এলাকার শতভাগ পাড়াবাসী জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। দারিদ্রতার কথা চিন্তা করে বিদ্যালয়ের পাঠদান অনুমতি ও এমপিও ভুক্তির জন্য বহুবার আবেদন করেছি। ভুমি সমস্যার কারণে আর এগানো সম্ভব হয়নি। বিদ্যালয়ের নামে খাস জমি বন্দোবস্তির জন্য ইতি মধ্যে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয় বিদ্যালয়ের নামে খাজ জমি বন্দোবস্তি প্রদান করলে পাঠদান অনুমতি ও এমপিও ভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
দুমদুম্যা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা বলেন, দুমদুম্যা ইউনিয়নের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে এ বিদ্যালয়ের প্রতি সরকারকে নজর দিতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, বিদ্যালয় সরজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয়তার সুপারিশসহ জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

এমএন লারমার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

রাঙামাটিতে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী পালন

কাপ্তাই বিএফআইডিসিতে ঈদ-ই মিলাদুন্নবী (সঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত 

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত

রাবিপ্রবিতে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস পালন

দূর্গা পুজা নির্বিঘ্ন করতে বাঘাইছড়িতে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

রাজনগর ব্যাটালিয়ন কর্তৃক ৮টি ভারতীয় গরু জব্দ

বিলাইছড়িতে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

রাঙামাটির দুর্গম এলাকায় বিনামূল্যে সোলার হোম প্যানেল বিতরণ করলেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর

বিলাইছড়িতে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত 

%d bloggers like this: