রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বাড়ায় কাপ্তাই বাঁধের পানি বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই করছে। গত রাতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধির কারণে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও অনেক ঘরবাড়ি। এতে বেড়ে গেছে জন দুর্ভোগ। ভারতের মিজোরামের পানি ও দেশের অভ্যন্তরে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় এ পানি আরো বাড়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে রাস্তায় পানি দেখেন স্থানীয়রা। রাঙাপানির লুম্বিনী এলাকার বাসিন্দা সুশীল চাকমা (৪৫) বলেন, সকালে অটোরিকশা নিয়ে বের হলে পানিতে আটকা পড়ি। কোন রকম ঝুকি নিয়ে অটোরিকশাটি পার করি। বিকালে অটো রিকশাটি বাড়িতে আনতে পারব না। বাইরে রেখে আসতে হবে।
সিএনজি চালক রুপম চাকমা (৩২) বলেন, গত রাতে হঠাৎ পানি বেড়েছে। গতকাল (রবিবার) সন্ধ্যায় যে জায়গায় পানি ছিল না সে জায়গায় আজ (সোমবার) সকালে পানিতে ডুবে গেছে। তাছাড়া গত রাতে যে বৃষ্টি হয়েছে এ বৃষ্টি গত বর্ষায়ও দেখা যায়নি। ভারী বৃষ্টি হয়েছিল।
রাঙামাটির ভেদভেদী আবহা্ওয়া অফিসের তথ্যমতে রবিবার সারাদিন বৃষ্টিপাত না হলেও গত রাতে ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করেছে।
শহরের রিজার্ভ বাজার, আসামবস্তি, রাজদ্বীপ, পাবলিক হেলথ, তবলছড়ি এলাকায় কাপ্তাই হ্রদ তীরবর্তী অনেক বাড়িতে পানি উঠেছে।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বর্তমানে পানির লেভেল প্রায় বিপদ সীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। বর্তমানে হ্রদের পানির ১০৬ দশমিক ৫০ ফুট এমএসএল।
১০৭ ফুট লেভেল হলে বিপদসীমা ধরা হয় কাপ্তাই হ্রদে। তবে পানি কমানোর জন্য বাধের পানি ছাড়া নিয়ে এখানো কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি পানি বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সচল হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট। এ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২০৪ ইউনিট।