রবিবার , ৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক গ্রেফতার; স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আহ্বান শান্তি কমিটির

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান।
এপ্রিল ৭, ২০২৪ ৯:৪৬ অপরাহ্ণ

কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বম (৫৫) নামের একজনকে বিশেষ যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। এসময় তার বাড়িতে তল্লাশি করে দুইটি এয়ারগান (পাখি শিকারে অস্ত্র) উদ্ধার করা হয়।
রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩ টায় বান্দরবান জেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে র‍্যাব -১৫ এর ক্যাম্প কমান্ডার লে.কর্ণেল এইচএম সাজ্জাদ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত চেওসিম বম বান্দরবান ৪নং সুয়ালক ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড শারণ পাড়ার এলাকা মৃত বোয়াল খুব বমের ছেলে। চেওসিম বম কেএনএফ সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও পার্বত্য এলাকা ৬টি নৃ-গোষ্ঠী নিয়ে গঠিত কুকিচিন ডেভলপমেন্ট সোশ্যাল অর্গানাইজেশন-এর কেন্দ্রীয় অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন।

র‍্যাব জানান, বান্দরবান জেলার মধ্যে প্রথম কেএনএফ কমিটি গঠন করেছিল এবং কেএনএফের প্রধান নাথান বমের সাথে আত্মীয়তা সম্পর্ক আছে। জামাতুল আনসার ফিল ইন্দাল শারক্কিয়ার জঙ্গি নেতা শামীম মাহফুজ এবং নাথান বমের সাথে অর্থের বিনিময়ে প্রশিক্ষণের চুক্তি শারণ পাড়ার চেওসিম বমের বাড়িতে কেএনএফ এবং জঙ্গি গ্রুপ চুক্তি করেছিল সেখানে তিনি মূলহোতা ছিলেন। তাছাড়া রুমা এবং থানচি ঘটনার পূর্বে তার বাসায় কয়েকজন সদস্য (কেএসএফ) আসছিল। তার আত্মীয়-স্বজন বাসাও আশ্রয় নিয়েছিল। মূলত তার (আসামী) কাছ পরামর্শ নিতে এসেছিল সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে জানান।
আরও বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ভিত্তিতে গতকাল রাত্রে বান্দরবান সদরে সুয়ালক ইউনিয়নে শারণ পাড়া যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। প্রথমে তার বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এসময় আসামী তার বাড়িতে এক কুটিরে তালা বদ্ধ অবস্থা লুকিয়ে ছিলেন। পরে সন্দেহ হলে সেই তালা ভেঙ্গে কুটিরে ভিতর থেকে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
বাকীদের গ্রেফতার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান সংবাদ সম্মেলনে।
এক প্রশ্নের জবাবে র‍্যাব বলেন, এই ঘটনার সাথে যারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সম্পৃক্ততা আছে, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যেখানে প্রয়োজন মোতাবেক অভিযান পরিচালনা করবো। এই পার্বত্য এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে না আসার পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
লুট হওয়ার অস্ত্র উদ্ধারে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অস্ত্র উদ্ধারে জন্য গোয়েন্দা থেকে শুরু করে সকল সংস্থার অভিযান পরিচালনা করে আসছি। বিচ্ছিন্নবাদী সংগঠন ন্যক্কারজনক ঘটনার সাথে যারা জড়িত তারা যদি সঠিক পথেই ফিরে না আসে, তাহলে তাদেরকে আইনের আওতা নিয়ে আসার মূল লক্ষ্যে।

কেএনএফ- এর প্রধান নাথাম বম অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার অবস্থান সম্পর্কে এখনও আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই। হয়তো বা তিনি দেশে নাই, তার নির্দিষ্ট কোনো লোকেশন সনাক্ত করতে পারিনাই।
এদিকে শান্তি কমিটির পক্ষ থেকে বিচ্ছিন্নবাদী সংগঠন কেএনএফ সদস্যদের অস্ত্র সমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি।

রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহব্বায়ক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা ও সদস্য সচিব লালজারলম বম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেএনএফের দাবি অনুযায়ী বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সমন্বয়ে এই পর্যন্ত বম জনগোষ্ঠীর জন্য রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার মোট ৯৬৮ টি বম পরিবারের মাঝে ১৩৪ মেট্রিকটন খাদ্য শস্য, নগদ অর্থ, শীতবস্ত্র, চিকিৎসা সহায়তা প্রদানসহ তাদের কারান্তরীন ২ জন সদস্যকে জামিনে মুক্তি লাভে সহায়তা প্রদান করা হয়। অবশিষ্ট কারান্তরীন সদস্যদের মুক্তির ব্যাপারে আইনী প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্থ বম জনগোষ্ঠীদের সহায়তার জন্য এলাকায় খাদ্যশস্য ইতোমধ্যে পৌঁছানো হয়েছে। তাদের উত্থাপিত দাবিসমূহ ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট গোচরিভূত করা হয়েছে।

তবুও কেএনএফ সদস্যরা গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় অতর্কিতভাবে সশস্ত্র অবস্থায় বর্বরোচিত হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি করে হামলা, অর্থ লুটের উদ্দেশে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪ টি অস্ত্র লুট করে নেওয়া এবং ০৩ এপ্রিল ২০২৪ সালে থানচি উপজেলায় স্থানীয়বাসীদের জিম্মি করে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ ও দু’টি ব্যাংক লুট করার মতো জঘন্যতম ঘটনায় সমগ্র জাতি স্তম্ভিত ও মর্মাহত হয়েছে। যা সম্পূর্ণভাবে সমঝোতা চুক্তির শর্তাবলী লঙ্ঘন করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ইতোমধ্যে অপহরণের শিকার ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে গত ৪ এপ্রিল উদ্ধার করা গেলেও পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর লুট হওয়া মোট ১৪ টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা একান্ত প্রয়োজন ।
শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটিসহ আপামর জনগণ এই উদ্ভূট পরিস্থিতি কোনভাবে কামনা করছে না। এমন অশান্ত পরিস্থিতি পরিহার এবং সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী কেএনএফ এর সকল সদস্য শান্তি বজায় রাখতে অস্ত্র সমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানায় শান্তি প্রতিষ্টা কমিটি।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত
%d bloggers like this: