ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ।
কাপ্তাইয়ের ৫নং ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শিলছড়িস্থ ভেলুয়াছড়া বাসিন্দা মোস্তফা মিয়া (৩৮), তার স্ত্রী নাছিমা বেগম (৩০)।
সন্তান নেই। বৃদ্ধ মা, আরো ৪ ভাই ৩ বোন নিয়ে মোস্তফাদের সংসার। এক বোন এসএসসি পরীক্ষার্থী। বাড়িতে একমাত্র উপার্জনকারী মোস্তফা। সবকিছু সুখে চলছিল। কিন্তু হঠাৎ এক ঝড়ে যেন সব তছনছ মোস্তফা পরিবারের।
গত বছর মোস্তফার লিভার সিরোসিস শনাক্ত করে ডাক্তাররা। এ চিকিৎসা শুরুর কিছুদিন পর স্ত্রী নাছিমার কিডনী রোগ ধরা পড়ে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন নাছিমার দুটো কিডনী নষ্ট হয়ে গেছে।
দুজনের চিকিৎসা করতে গিয়ে সব সহায় সম্বল শেষ। এমন অবস্থায় পথে বসেছে পরিবারটি।
নাছিমার চিকিৎসা করতে দু’দিন পর পর চট্রগ্রামে কিডনি ডাইলোসিস কেন্দ্রে গিয়ে কিডনি ডাইলোসিস করতে হচ্ছে।
গত সোমবার এই প্রতিনিধিকে অঝোঁর কান্নায় মোস্তফা বলেন, আমি বাঁচতে চাই। আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও সর্বস্তরের লোকজনের সাহায্য সহযোগিতা চাই।
নাছিমা বেগম বলেন সব শেষ। এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছি। চিকিৎসা করার অর্থ নেই। বাঁচাতে সর্বস্তরের লোকজনের নিকট মানবিক সাহায্য দরকার।
পঁয়ষট্টি বছর বয়সী মোস্তফার বৃদ্ধ মা হোসনেয়ারা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে জানান , ছেলে ও পুত্রবধুর চিকিৎসা বাবদ সব হারিয়ে এখন পথে বসেছি ।কখনো খাই কখনো না খেয়ে রাত্রি যাপন করছি।
মোস্তফা মিয়া চট্রগ্রামের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো. শাহাদাত হোসেন ও স্ত্রী নাছিমা বেগম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার এম এস হায়দার রশ্নীর চিকিৎসা ও পরামর্শ নিচ্ছেন ।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এই দুই চিকিৎসক জানান, তাঁরা আমাদের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই চিকিৎসা ব্যয়বহুল এবং দীর্ঘমেয়াদী।
৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সরোয়ার হোসেন তাদের পরিবারের এই দূর্দশার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা সকলে তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছি এবং সকলকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
তাদের সাহায্য ও যোগাযোগ করার ঠিকানা মো.মোস্তফা মিয়া -০১৮৫-১৩৯৪০০২(বিকাশ)। নাছিমা বেগম হিসাব নং-৫৪০৩১০১০১১১৩৮ সোনালি ব্যাংক লিঃ বড়ইছড়ি শাখা কাপ্তাই, রাঙামাটি।