কক্সবাজারের বাঘখালী রেঞ্জের কচ্ছপিয়া বিটের ডাক্তার কাটার হরিয়ার বিলে সামাজিক বনায়নের ৩৪০ গাছের হদিস মিলছে না। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫০ হেক্টর সামাজিক বনায়ন এলাকায় ৪০টি লটের গাছ মার্কিং করা হয়। পরে বিতর্কের মুখে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি হয় কেবল ২৪টি লট।
অবিক্রিত ১৬টি লটের ৬৪০টি আকাশমনি গাছ বাগানে ছিলো। সম্প্রতি এর অর্ধেকের বেশি গাছই উধাও হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার সংখ্যা ৩৪০টি বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৩-০৪ সালে সৃজিত এই সামাজিক বনায়নের মোট ১৬টি লটে বর্তমানে প্রায় ৩০০ গাছ অবশিষ্ট আছে বলে জানাচ্ছেন উপকারভোগীরা। তাঁদের অভিযোগ, ২৪ লটের টেন্ডার পাওয়া ঠিকাদার অবিক্রিত লটেরও প্রায় ৩৪০টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে।
কচ্ছপিয়া বিটে হরিয়ার বিলে ৫০ হেক্টর সামাজিক বনায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, ‘আমি ও সভাপতি মিলে বহুবার স্থানীয় বিট কর্মকর্তাকে গাছ কাটার বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
কচ্ছপিয়া বিট কর্মকর্তা আব্দুর সাত্তার গাছ কাটার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ‘সামাজিক বনায়ন রক্ষা করা আমার দায়িত্ব নয়, এটা উপকারভোগীদের কাজ। আমার অফিস অনেক দূরে, আমি কীভাবে গাছ কাটা ঠেকাব?
বাঘখালী রেঞ্জের সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তা সরওয়ার জাহান বলেন, ‘আমি এক বছর আগে বদলি হয়েছি। তখন ২৪ লট টেন্ডার হয়েছিল, কিন্তু গাছ কাটা হয়নি। নতুন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে জানেন।
বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফজল কাদের বলেন, ‘লট টেন্ডারে বিষয়টা আগের রেঞ্জ কর্মকর্তা কর্মকালীন। বিষয়টি আমাকে খোঁজ নিতে হবে। আগামী দুইদিনের মধ্যে আমি সরেজমিনে যাবো। তারপর বিস্তারিত বলা যাবে।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মারুফ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খতিয়ে দেখা হবে।