বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে বর্তমানে দেশি-বিদেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে। আর সেটির প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে পার্বত্য অঞ্চল। কোনো অবস্থাতেই কারো উস্কানির ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ হাবীব আজম জনসাধারণের উদ্দেশ্যে আহ্বান করে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের রাঙমাটি জেলা একটি সম্প্রীতির জেলা। আমাদের এখানে সকল জাতি, গোষ্ঠী অত্যন্ত সুন্দরভাবে সম্প্রীতি সোহার্দ্য পরিবেশ বজায় রেখে মিলেমিশে বসবাস করছি।কেউ যদি আমাদের সাথে অন্যায় আচরণ করে আমরা সহনশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বজায় রাখবো। আমরা শান্তি চাই এবং আমরা শান্তি সম্প্রীতি নিয়ে সকলে একসাথে বসবাস করবো।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১০ টায় রাঙ্গামাটি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের স্বর্ণটিলা হিলফুল ফুজুল যুব সংঘের উদ্যােগে পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে ওয়াজ মাহফিলে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জেলা পরিষদের সদস্য হাবীব আজম বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে আমরা যারা বসবাস করছি আমাদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। অনেকেই আমাদের ষড়যন্ত্রের জালে ফেলতে বিভিন্ন ফাঁদ পেতে বসে আছে। তাদের পাতানো ফাঁদে আমাদের পা দেয়া যাবে না।
তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেই পথ দিয়ে যেতেন ওই পথে এক বুড়ি কাঁটা বিছিয়ে রাখতেন, যাতে নবীজির কষ্ট হয়। কিন্তু নবীজী বৃদ্ধ মহিলার আচরণে কখনো কষ্ট পাননি। বরং উনি রাস্তার কাঁটা সরিয়ে যেতেন। একদিন যখন মহানবী দেখলেন, রাস্তায় কোন কাঁটা নেই। তিনি খোঁজ নিয়ে বুড়ির বাসায় গিয়ে দেখেন বুড়ি অসুস্থ। এরপরে মহানবী বুড়িকে সেবা আর ভালবাসা দিয়ে তাকে সুস্থ করে তুললেন। মহানবীর এই মানবপ্রেম দেখে বুড়ি তার ভুল বুঝতে পারলো এবং লজ্জিত হলো।
মহানবী (সাঃ) শিখিয়েছেন সামাজিক ন্যায়বিচার, পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও ভালোবাসা। তিনি মানুষকে সংযমী হওয়ার শিক্ষা যেমন দিয়েছেন, তেমনি সৎ স্বভাব, সত্যনিষ্ঠা, সৌজন্যবোধ, বিনয় ও নম্রতার যে অনুপম শিক্ষা দিয়েছেন, তা আমরা ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে চর্চা করলে পৃথিবীতে আর অশান্তি ও হানাহানি থাকত না। তাই ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কেবল মুখে মহানবী (সাঃ)-এর আদর্শ অনুসরণের কথা বললে হবে না; মনেপ্রাণে সেই আদর্শ লালন ও চর্চা করতে হবে; সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধন করতে হবে সুদৃঢ়।


















