সামিনা তঞ্চঙ্গ্যা বয়স ৪০ বছর। গ্রাম ডেবাছড়া জুরাছড়ি ইউনিয়ন। স্বামী জুরন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা।
আট বছর আগে রোগে মারা যায় জুরন কুমার। চার সন্তানের বরন পোষনের দিন রাত অন্যের ঘরে কাজ করে কোন রকমে সংসার চলে সামিনা তঞ্চঙ্গ্যা।
ঘর বাঁশের বেড়া ও ছনের ছাউনি। আকাশে কালো মেঘ উঠলে বাচ্চাদের নিয়ে পাশ্ববর্তী স্কুলে কিংবা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতেন সামিনা ।
এভাবেই চলে গেছে আটটি বছর। পাকা ঘর টিন সেট ঘর নির্মানে কখনো স্বপ্নেও কল্পনা করেনি।
আজ গৃহ ও ভূমিহীনদের প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প থেকে ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হন সামিনা।
শুধুই সামিনা তঞ্চঙ্গ্যা নয়, বিধবা দর্তি চাকমা, বিনদেবী চাকমাসহ দিনমজুর ভূমিহীন ৭০ পরিবার জুরাছড়ি উপজেলা সম্মেলন কক্ষে ভূমি ও গৃহ কাগজপত্র পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া ও সুস্থ কামনা করেন।

বুধবার (২২ মার্চ) “আশ্রয়নের অধিকার, প্রধানমন্ত্রীর উপহার” স্লোগানকে সামনে রেখে জুরাছড়ি উপজেলায় ৭০ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সের পর সুবিধা ভোগীদের মাঝে জমি ও গৃহ হস্তান্ত করা হয়। উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত গৃহ ও ভূমি হস্তান্তর সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, বিশেষ অতিথি ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আল্পনা চাকমা, সহকারি সার্জন ডা জুনায়েদ আহমেদ, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মতিউর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন, জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইমন চাকমা, বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, মৈদং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা,শিক্ষা কর্মকর্তা কৌশিক চাকমার, রির্সোস সেন্টারের ইন্সেট্রাক্টর মোঃ মরশেদুল আলমসহ সুবিধা ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।


















