সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতেও ১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটির প্রতিপাদ্যের বিষয় ছিল “রুপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য, নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্বগঠন”।
রবিবার সকাল ১১টার দিকে পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ক্যান্সার,প্যারালাইজডসহ বিভিন্ন জটিল রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রত্যেককে মাঝে ৫০হাজার টাকা করে ৫লক্ষ টাকার চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জেলা সমাজসেবা বিভাগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য শাহিনা আক্তার’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। এ উপলক্ষে আলোচনা সভায় জেলজ সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রোকেয়া বেগম’র সঞ্চালনায় অতিথিরা বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক উল্লেখযোগ্য অংশ বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধিতার শিকার।
বিপুল সংখ্যক শিশু অটিজম ও স্নায়ুবিকাশজনিত জটিলতায় ভুগছে। এ সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরও পুর্ণমর্যাদা বা অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকা ও বসবাসের অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র কোন অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান প্রণয়ন করতে পারবে। বাংলাদেশ এ সনদে স্বাক্ষর ও অপশনাল প্রটোকলসমূহে অনুসমর্থন করে। এরই ধারাবাহিকতায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিবন্ধী বান্ধব বর্তমান সরকার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে বহুমাত্রিক ও নিবিড় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ প্রেক্ষাপটে সরকার এ ধরণের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতা, কর্মসংস্থান ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাজের মূলধারায় আনয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শানে আলম,জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া,জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ছাবের,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ও অর্থ) মাহমুদা বেগম, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ। এছাড়াও তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিপন চাকমা,শহর সমাজসেবা অফিসার নাজমুল আহসানসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।