রাঙামাটি লংগদু উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহাজনপাড়া গ্রামের প্রায় ১২০ বিঘা জমিতে আবাদ করা হয়েছে সরিষার চাষ। এ যেনে ফসলি মাঠের বুকে দিগন্তজুড়ে বিছানো হলুদরঙা কার্পেট।
এতে হলুদের আভা ছড়াচ্ছে পুরো এলাকাজুড়ে। মৌমাছির আনাগোনাও ব্যাপক সেখানে।
ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে রাংগামাটি জেলার লংগদু উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহাজনপাড়া গ্রামে এবার ব্যাপক সরিষা চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেখানকার অসংখ্য কৃষক প্রায় ১৯ হেক্টর অর্থাৎ ১২০ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন।
সরিষা চাষে সেই গ্রামের চিত্র বদলে গেছে। এলাকা পরিদর্শনেও নিয়মিত আসছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
মাঘ মাসের কুয়াশা রোদমাখা চোখে পড়বে এক ঝাক পাখিদের কিচিরমিচির ও ওড়াউড়ির, হলুদ-সবুজের নয়নাভিরাম দৃশ্যপট। সরিষা ফুলের ঘ্রাণ ফুসফুসের উপকার হয় বলে মানুষজন ক্ষেতজুড়ে ঘ্রাণ নিতেও ছুটে যান। অন্যদিকে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষকরা।
কৃষক পরামর্শ চাকমা এবছর তিন বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। তিনি বলেন,আগে আমি শুধু বোরো চাষ করতাম।এবারই প্রথম সরিষা চাষ করেছি।
সরিষা চাষি মিটন চাকমা জানান, তিনি এবার পাঁচ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। গতবারের থেকে দিগুণ লাভের আশা।
আরেক কৃষক নীল কান্তি চাকমা বলেন,কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই সময়ে সরিষা চাষ করেছি। সরিষাতে খরচ চার হাজার টাকার মতো হয় বিঘা প্রতি।ফলন তুলনা মুলক ভালো হয়,দামও ভালো পাওয়া যায়।তিনি আরো জানান, সরিষার কোনো কিছু ফেলা যায় না,গাছ খড়ি এবং খৈল গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
এ বিষয়ে কৃষি বিভাগ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলছেন, অন্যান্য চাষাবাদ থেকে সরিষা চাষ অনেকটাই সহজ। ওই এলাকার কৃষকেরা চাষের মৌসুমে বোরো ধান সহ তামাক আবাদ করতেন। এর মাঝে কিছু সংখ্যক জমি পতিত অবস্থায়ও থাকত। কিন্তু এবার তারা উন্নত জাতের সরিষা আবাদ করেছেন। এতে আমনে বেশি ফলন পাওয়ার পাশাপাশি সরিষা চাষের কারণে আর্থিকভাবেও তারা লাভবান হবেন।