শনিবার , ৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. জাতীয়
  2. রাঙামাটি
  3. খাগড়াছড়ি
  4. বান্দরবান
  5. পর্যটন
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. রাজনীতি
  8. অর্থনীতি
  9. এনজিও
  10. উন্নয়ন খবর
  11. আইন ও অপরাধ
  12. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
  13. চাকরির খবর-দরপত্র বিজ্ঞপ্তি
  14. অন্যান্য
  15. কৃষি ও প্রকৃতি
  16. প্রযুক্তি বিশ্ব
  17. ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
  18. শিক্ষাঙ্গন
  19. লাইফ স্টাইল
  20. সাহিত্য
  21. খোলা জানালা

সীমান্তে কাঁটাতারে আবদ্ধ ফেনী নদীতে বারুণী স্নানোৎসব এবারো ম্লান

প্রতিবেদক
করিম শাহ, রামগড়, খাগড়াছড়ি
এপ্রিল ৬, ২০২৪ ৪:৫৮ অপরাহ্ণ

 

এ পাশে এক বাংলা ওপারে আরেক বাংলা। ভাষা এক হলেও দেশ দুই। মাঝখানে সীমারেখা টেনেছে নদী। প্রতি বছরের চৈত্রের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে এখানে জমে উঠতো বারুণী স্নান। সেই স্নাণকে ঘিরে দুই পাড়ে বসতো প্রাণের মেলা। এপাড়ের আত্মীয়রা যেতো ওপাড়ে। ওপাড়ের আত্মীয়-স্বজনরা আসতো এপাড়ে। একদিনের জন্য ফেনী নদীর দুই পাড়ের সীমান্তরক্ষী বাহিনীও এদেশ থেকে ওদেশে যাতায়াত করতে দিতো পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলতো এই প্রাণের উৎসব। ঐতিহাসিক প্রাণের এই মেলা গত কয়েক বছর ধরে আর জমে না।

আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে দেখা যায় খাগড়াছড়ির রামগড়-সাব্রুম সীমান্তবর্তী ফেনী নদীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বারুণী স্নান উৎসবে এবারও ভাটা পড়েছে। ভারতের দিকে সীমান্তে কাটাতারের বেড়া ও আগে থেকে বিএসএফের কড়াকড়িতে ভারতীয় পূর্ণার্থীরা নদীর ধারে কাছেও আসতে পারেনি ফলে দেখাও হয়নি স্বজনদের সাথে। যে কারনে বাংলাদেশ অংশেও খুব সিমিত স্থানীয় কিছু পুর্ণার্থী দেখা গেলেও দূরদুরান্ত থেকে কোন পুর্ণার্থী আসেনি এবারের বারুনী উৎসবে।

এ উৎসবকে ঘিরে বিগত কয়েক দশকে দুই দেশের লাখো মানুষের মিলনমেলা হতো। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গারা ইসু এবং পরবর্তীতে ২০১৯ সালে করোনা পরিস্থিতির কারণে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সর্বোচ্চ সর্তকতা জারি করে সীমান্তে। একই সাথে বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবিও সর্তকতামূলক নিরাপত্তা জোরদার করে। এতে করে গত কয়েক বছর ধরে বারুণী স্নান উৎসব প্রাণহীন হয়ে পড়ে।

বারুণী হলেন এক হিন্দু পৌরাণিক দেবী। এছাড়াও তিনি বরুণানী এবং জলদেবী নামে পরিচিত। জলদেবীর উদ্দেশ্যেই এই বারুণী স্নান। তারা পূর্ব পুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য তর্পণ করেন নদীতে স্নান ও পূজা অর্চনার মধ্যদিয়ে। ব্রিটিশ আমল থেকেই এ উৎসব উদযাপনে সামিল হয়ে আসছে দু’দেশের বাসিন্দারা। আর এ বারুনী উৎসব দেখতে এখানে যুগযুগ ধরে মিলিত বিভিন্ন ধর্মালম্বী ও দর্শনার্থী দুই বাংলার লাখো মানুষ তারা চায় অতীতের মতো আবারো মুক্তভাবে চালু হোক এই উৎসব।

গীতা রাণী সরকার নামে এক পুর্ণার্থী জানান, মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন ভারতের ত্রিপুরায়। মেয়ের সঙ্গে দেখা হবে এ আশায় বছরের এ দিনটার জন্য মুখিয়ে থাকেন। করোনার কারণে গেলো দু’বছর মা-মেয়ের দেখাদেখি হলেও এ বছর তাও হয়নি।

রামগড় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শ্যামল রুদ্র বলেন, বারুণী স্নান শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ নয়। এটিকে দুই বাংলার সম্প্রীতির মেল বন্ধন বলা হয়। দেশ ভাগ ও স্বাধীনতার পরে সীমান্ত জটিলতায় রামগড় ও ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্যে পারাপার বন্ধ হলেও প্রতিবছর বারুণী স্নান ঘিরে দুই বাংলায় পারাপার হতো। রহিঙ্গা ইস্যু ও করোনা পরিস্থিতির পর থেকে সীমান্তে কড়াকড়ি শুরু হয়। এ বছর ভারতীয় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের ফলে তাও ম্লান হয়ে গেলো।

সর্বশেষ - আইন ও অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

খাগড়াছড়িতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বস্ত্র বিতরণ করলো সনাতন ছাত্র-যুব পরিষদ

রাঙামাটিতে বিভাগীয় কমিশনার গোল্ডকাপ’র তৃতীয় ম্যাচে বান্দরবানকে হারিয়ে কক্সবাজারের জয়লাভ

জুরাছড়িতে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে প্রশাসন

রাঙামাটি জেলা পুলিশের শীতবস্ত্র বিতরণ

উপজেলা পর্যায়ে ৫২টি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন কাপ্তাই নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ

প্রধান উপদেষ্টার কাছে গেল স্মারকলিপি / রাঙামাটি জেলা পরিষদে প্রতিনিধি চায় কাউখালী বিএনপি

কাপ্তাইয়ে জেন্ডার এবং উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা করল হিল ফ্লাওয়ার

সাব্রুম আইসিপি উদ্বোধন; মার্চেই রামগড়-সাব্রুম চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু 

বরকলে নৌকার প্রার্থী দীপংকর তালুকদারের গণসংযোগ 

বরকলে তামাক লুটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় দল থেকে বহিস্কার বিএনপি নেতা

error: Content is protected !!
%d bloggers like this: