ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয় আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-এর শিক্ষকদের রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্ত ও প্রকল্পটিকে আউটসোর্সিংয়ের আওতার বাইরে রাখার দাবিতে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
রবিবার (২৩মার্চ) সকাল ১১ঘটিকায় বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ কার্যালয় চত্বরে মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ বাংলাদেশ এর উদ্যোগে মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে বাঘাইছড়ি ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর সাধারণ কেয়ার টেকার আব্দুর রহমান এর সঞ্চয়নায় সভাপতিত্ব করেন পশ্চিম মুসলিম ব্লক জামে মসজিদ এর খতিব মাওলানা কবির আহাম্মদ। এসময় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন রশিদ, চৌমুহনী সদর জামে মসজিদ এর খতিব মাওলানা আজিজুর রহমান, কাচালং বাজার জামে মসজিদ এর খতিব মাওলানা হাফেজ কাওছার উদ্দিন নূরী সহ উপজেলা’র বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ এর সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।
এসময় বক্তারা নৈতিকতা বা ধর্মীয় মূল্য উন্নয়নে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা ৮ম পর্যায়ে প্রকল্প অনুমোদন সহ ৫ দফা দাবী তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প (৮ম পর্যায়) মাহে রমজানের মধ্যে পাস করা, ঈদুল ফিতরের পূর্বে (বকেয়া) বেতন ও বোনাস পরিশোধ, শিক্ষকদের গ্রেড ভুক্ত করে স্থায়ীকরণ ও আউটসোসিং পদ্ধতির বাহিরে রাখা, শিক্ষক/শিক্ষিকাগণের প্রয়োজনে কেন্দ্র স্থানান্তরের সুযোগ দেওয়া এবং অসুস্থ, অবসর অথবা মৃত্যুবরণ করলে শিক্ষক তহবিল গঠন করে এককালীন অর্থ প্রদান করার দাবি জানানো হয়।
এতে বক্তারা বলেন, ১৯৯৩ সালে মসজিদ শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পটি শুরু করে ৭ম পর্যায়ে প্রকল্প ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৪ সালে শেষ হলেও মসজিদ ভিত্তিক কেন্দ্র গুলো প্রাক-প্রাথমিক এবং সহজ কোরআন শিক্ষা দেওয়া হয়। তাই কেন্দ্রগুলো এখনো পর্যন্ত চলমান আছে এই কেন্দ্রগুলোর সাথে সকল মসজিদের ইমামগন সম্পৃক্ত রয়েছে। ইমামরা শিক্ষকতার পাশাপাশি সমাজে বাল্যবিবাহ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেন। পরিশেষে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানান এবং হুশিয়ারি দিয়ে বলেন যদি দাবী মেনে নেওয়া না হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দলোনের ডাক দেওয়া হবে।