পাহাড়ের খবর ডেস্ক
বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপুর্ণ সমাধান না করে বল প্রয়োগের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছে। অপরদিকে চুক্তি স্বাক্ষরকারী জন সংহতি সমিতি (জেএসএস)র নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, গ্রেফতার,হয়রানি, হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়া করা হয়েছে। ফলে জেএসএস নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হচ্ছে । এ অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
রবিবার সংবাদ মাধ্যমে প্রেরণ করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ ও দাবী করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের এ আঞ্চলিক পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের পরিবর্তে সামরিক স্বৈরশাসকদের ন্যায় বল প্রয়োগের মাধ্যমে উপর থেকে চাপিয়ে দেয়া সমাধানের ভ্রান্ত নীতি অনুসরণ করে চলেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের ২৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও চুক্তির কোনো মৌলিক বিষয় সরকার বাস্তবায়ন করেনি এবং বাস্তবায়নের জন্য কোনো আন্তরিক উদ্যোগও গ্রহণ করেনি।
দীর্ঘ ১৩ বছরের অধিক সময় ক্ষমতায় থেকেও পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরকারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার চুক্তি বাস্তবায়নের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছে।
সরকার পক্ষ বর্তমানে অব্যাহতভাবে চুক্তির বিভিন্ন ধারা লংঘনসহ চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী নানা ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনা ও কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে অভিযোগ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চুক্তির অন্তর্নিহিত বিষয়বস্তুকে পদদলিত করে জনস্বার্থ বিরোধী সড়ক নির্মাণসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে জুম্মদের ক্রমাগত স্বভূমি থেকে উচ্ছেদ, অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস ও অধিকতর প্রান্তিকীকরণসহ এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক দল সৃষ্টি করে তাদেরকে আজ জুম্ম জনগণ ও চুক্তি বাস্তবায়নের বিরুদ্ধেমুখোমুখি দাঁড় করিয়ে এক সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
জেএসএস অভিযোগ করে নিরাপত্তাবাহিনীর সৃষ্ট ও মদদপুষ্ট সংস্কারপন্থী, ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ও মগ পার্টি প্রভৃতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন লেলিয়ে দিয়ে জনসংহতি সমিতি সদস্য ও চুক্তি সমর্থকদের উপর খুন, অপহরণ, মুক্তপণ আদায় ও নির্যাতন, নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে।
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে এসব সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক ৩ ব্যক্তি খুন, ১৫ ব্যক্তি সাময়িক অপহরণ ও অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়, ৪ জন হুমকি ও মারধরের শিকার, ১ জনকে হত্যার চেষ্টা এবং ৪টি বাড়ি তল্লাসীর শিকার হয়েছে। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি